কলকাতা: ভোট গণনা শেষের আগেই কালীগঞ্জে প্রাণ গেল সিপিএম সমর্থক পরিবারের মেয়ে তামান্নার! তৃণমূলের ‘বিজয় উল্লাস থেকে বোমা’, চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর মত্যুর ঘটনায় শাসকদলকে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
আরও পড়ুন, তৃণমূলের ‘বিজয় উল্লাস থেকে বোমার’ বলি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ! ‘যারা দায়ী, ছাড়া হবে না’, পোস্ট রাজ্য পুলিশের
এদিন মহম্মদ সেলিম এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন, নৃশংসতার নমুনা, হ্যাসট্যাগ তৃণমূলের দুষ্কৃতী (#TMCGoons) দিয়ে লেখেন, গণনা চলাকালীন কালীগঞ্জের এর বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল বিজয় মিছিল শুরু করে। পলাশির মোলান্দি গ্রামের এমন এক বিজয় মিছিল থেকে ছোড়া শকেট বোমায়, প্রাণ হারায় নিরীহ শিশু তামান্না খাতুন। সিপিএম সমর্থক পরিবারের মেয়ে চতুর্থ শ্রেণীর এই ছাত্রী’, জানিয়েছেন তিনি।
কালীগঞ্জ ব্লক সিপিএম আহ্বায়ক দেবাশিষ আচার্য বলেন, আমরা সবাই বিধানসভা উপনির্বাচনের গণনা কেন্দ্রে ছিলাম। গণনা কেন্দ্র থেকে বের হবার পরেই খবর পেলাম, তৃণমূল তাঁদের বিজয়মিছিল থেকে শকেট মারছে ! সেই শকেটের আঘাতে একটি ছোট বাচ্চা, ক্লাস ফোরে পড়ত, ফুটফুটে একটি মেয়ে, তার বাবা সিপিএম করত। দশ বছরের মেয়ের তো আর রাজনীতি করার কথা না। কিন্তু বিজয় উল্লাস এবং শকেট বোমা ফাটানো, তার আঘাতে তরতাজা বাচ্চার জান চলে গেছে, খবর আছে। দীর্ঘক্ষণ তার দেহ কার্যত সেখানে পড়েইছিল। এবং ক্ষতবিক্ষত দেহ, আমাদের কাছে তার ছবি এসেছে। তীব্র নিন্দা হচ্ছে এই ঘটনার। এটা কখনও রাজনীতির পরিণাম হতে পারে না। জিতছেন তো আপনারা। পূর্বেও আপনারা জিতেছেন। বিজয় মানে যদি একটা বাচ্চা মেয়ের প্রাণ কেড়ে নেওয়া হয়, এটা কোনও জয়ের উদযাপন হতে পারে না।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আমি শুধু বলব যে, নির্বাচনে জয়ের নামে, কুৎসিৎ বীভৎসাতার জয় হয়েছে। এটা তৃণমূলের জয় কি কার জয় , আমি জানি না। দুভার্গ্য যে, একটা হায়নার দল, তৃণমূলের হয়ে মানুষের হয়ে কামড়ে খাচ্ছে। নির্বাচনে কেউ জেতার পরে আনন্দ করে। মানে বুঝি। কিন্তু তাতে দুটো পটকা ফোটায়, তারও মানে বুঝি। কিন্তু এতো পটকা নয়, বোমা। বাছাই করে বোমা নিয়ে এসেছিল কে ? দুষ্কৃতী। ছুঁড়েছে কে ? দুষ্কৃতী। কাকে ছুঁড়েছে, সেটা বড় কথা নয়। ক্লাস ফোরে পড়া মেয়ে, তার আবার দল কী ?! উপনির্বাচনে তৃণমূল জিতবে, এটা তো নতুন কোনও কথা নয়, সবাই জানে।’