গৌতম মণ্ডল, কাকদ্বীপ : TMCP করলেই কলেজে চাকরি ? কসবার পর এবার কাকদ্বীপ কলেজ । কাকদ্বীপ কলেজেও TMCP নেতা-কর্মীদের অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ-বিতর্ক। কলেজে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করছেন TMCP-র ৭ নেতা-কর্মী। ২০২২ সালে তাঁদের নিয়োগ করা হয়েছিল। নিয়োগের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন কাকদ্বীপের তৃণমূল বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা। তিনি কাকদ্বীপ কলেজের পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যানও। ন্যাকের মূল্যায়নের জন্য কর্মীর প্রয়োজন ছিল, তাই নিয়োগ বলে সাফাই দিয়েছেন তিনি।
মন্টুরাম পাখিরা বলেন, “আমাদের স্টাফের মধ্যে কিছুটা অপ্রতুলতা আছে। সেই সময়টা ন্যাকের কাজ চলছিল। সেই সময় গভর্নিং বডি সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেয় যে, অস্থায়ী কয়েকজনকে নেওয়া হবে। সেইভাবে অস্থায়ী কয়েক জনকে নেওয়া হয়েছে। তাঁরা দরিদ্র পরিবারের ছেলে। গভর্নিং বডির রেজোলিউশনের পর আবেদন করেন। আবেদনের ভিত্তিতে অধ্যক্ষ এ ব্যাপারে…অস্থায়ী কর্মচারী হিসাবে GB-র সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন।” এ বিষয়ে কোনও নোটিফিকেশন বা পরীক্ষা হয়েছিল ? উত্তরে তিনি বলেন, “বিষয়টা হচ্ছে, অস্থায়ী কর্মী। এর কোনও স্থায়িত্ব নেই। নো ওয়ার্ক, নো পে-র মতোই। অস্থায়ী। ফলে, বাকিটা আর কিছু বলতে পারা যাবে না। বলতে পারছি এই কারণে, যেটুকু হয়ে সেটুকুই বললাম।”
কাকদ্বীপ কলেজের অধ্যক্ষ শুভঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, “আমি আমার কলেজে জয়েন করেছি ২০২১-এর জুলাই মাসের ৩১ তারিখে। আমি জয়েন করার আগেই গভর্নিং বডি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে কিছু ক্যাজুয়াল ভিত্তিক স্টাফ নেব। বলেছিলাম, ঠিক আছে চিন্তাভাবনা করে দেখব। কাজ করতে গিয়ে দেখলাম, সত্যি অসুবিধা হচ্ছে। সেইজন্য আমরা অস্থায়ীভাবে কিছু কর্মী নিলাম। আমি গভর্নিং বডিতে একটাই কথা বলেছিলাম, কাউকে আমি নিয়োগপত্র দিতে পারব না। কারণ, এটা কোনও অ্যাপয়নমেন্ট নয়। কাজ করে। অস্থায়ীভাবে কাজ করে।”
টিএমসিপি নেতা ও কলেজের অস্থায়ী কর্মী তৌসিফ সর্দার বলেন, “২০২২ সাল থেকে আছি। আমরা আছি অনেকজন। আমরা যখন ঢুকি সাতজন ঢুকেছিলাম। তৃণমূল দল থেকে নিয়োগ হয়েছিল। টিএমসিপি করতাম। ইন্টারভিউ হয়েছিল। ৬ হাজার টাকা করে পাই।”
কাকদ্বীপ কলেজের প্রাক্তন ছাত্র ও ABVP নেতা নিপুণ দাস বলেন, “কোনও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বা পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। কেবলমাত্র সোর্স অনুযায়ী হয়েছে। ABVP-র পক্ষ থেকে এই অন্যায়ের প্রতিবাদ যখন করতে যাই…২০২৩ সালে আমাকে মারধর করে। আমি এফআইআরও করি। এফআইআর করার পরে পুলিশ যখন বলে সিসি টিভি ফুটেজ আছে ? তখন আমরা কলেজের অধ্যক্ষের কাছে যাই। বলা হয়, তিন দিন আগে ডিলিট হয়ে গেছে। এমন কলেজ ইউনিয়ন যেটা রাতেও খোলা থাকে। রাতে যে কী কাজ হয় সেটা এখনও পর্যন্ত কেউ জানে না। “