‘নিখোঁজ’ অধ্যক্ষ! যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজে প্রিন্সিপালের ছবি দেওয়া পোস্টার ঘিরে তরজা

Estimated read time 1 min read
Listen to this article


কলকাতা:  সরস্বতী পুজো নিয়ে বিতর্কের মধ্য়েই যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজে দেখা গেছে ডে’বিভাগের প্রিন্সিপালের ছবি দেওয়া নিখোঁজ পোস্টার। গেটে লেখা, পড়ুয়াদের প্রয়োজনে প্রিন্সিপালকে পাওয়া যায় না, তাই এই পোস্টার। এরইমধ্য়ে মারাত্মক অভিযোগ করছেন প্রিন্সিপাল। তাঁর দাবি, কলেজে কাজ করতে পারছেন না তিনি। শুধু তাই নয়, তাঁকে জোর করে পদত্য়াগ করতে বলা হয়েছে বলেও অভিযোগ করছেন প্রিন্সিপাল। 

এবছর, অন্য় সরস্বতী পুজো দেখল শহর কলকাতা। কলেজের গেটের বাইরে বেঞ্চ পাতা…সেই বেঞ্চে বসে পড়ুয়ারা আড্ডা দিচ্ছেন, এমনটা নয়। সেখানে বসে রয়েছেন, সাদা উর্দি পড়া কলকাতা পুলিশের একঝাঁক পুরুষ-মহিলা কর্মী। যেদিনটা কিনা, কলেজে পড়ুয়াদের অবারিত দ্বার, সেই দিন তাঁদের কলেজে ঢুকতে হল আইকার্ড দেখিয়ে। সেই রবিবার থেকে বুধবার, কলেজের গেটে আই কার্ড দেখিয়ে ঢুকতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। এখানেই শেষ নয়, যোগেশচন্দ্র ডে কলেজের প্রিন্সিপালের ছবি দিয়ে নিখোঁজ পোস্টার টাঙানো হয়েছে। 

কারণ হিসেবে লেখা হয়েছে, ৪ মাস ধরে কলেজ বিল্ডিংয়ের কাজ দীর্ঘায়িত হচ্ছে। প্রিন্সিপালকে পাওয়া যায় না। প্রিন্সিপাল পুজো বিরোধী। ৪ মাস অনলাইন ক্লাস। নিয়মিত ক্লাস হচ্ছে না। প্রিন্সিপালকে জানাতে গিয়ে পাওয়া যায়নি। কোনওসমস্য়া হলেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না প্রিন্সিপালের সঙ্গে। যোগেশচন্দ্র ডে কলেজের অধক্ষ্য বলেন, “এই তো আমি কলেজে। কিন্তু, আসলে আমি কাজ করতে পারছি না। আমাকে অ্য়াসল্ট করা হয়। বাড়ি থেকে কাজ করি। আমাকে রাস্তায় ধাওয়া করেছিল।বহিরাগত ও ডিসকলেজিয়েট পড়ুয়ারা।”

উল্লেখ্য়, এ প্রসঙ্গে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন, যোগেশচন্দ্র ডে কলেজের প্রিন্সিপাল। পঙ্কজ রায়ের দাবি, তাঁকে জোর করে পদত্য়াগ করতে বলেন, গভর্নিং বডির মেম্বার অরুণ চট্টোপাধ্য়ায়। তাঁর অভিযোগ, “৩১ জানুয়ারি ১ ঘণটার মধ্য়ে মিটিং ডাকা হল। ১ ঘণ্টার মধ্য়ে মিটিং ডাকল কেন। পরের দিন এখনই আসুন। ৪টের সময় ঢুকতেই বলল পদত্য়াগ করুন। আমি বলি দেব না। তখন গর্ভর্নিং বডির প্রেসিডেন্ট, অরুণ চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, তাহলে VR নিলাম। আমি VR-এর আবেদন করেছিলাম, ৩১ জুলাইয়ের পরে। তাহলে হঠাৎ করে এখন আমার VR নিল কেন? এটাকে স্বেচ্ছা অবসর নয়, স্বেচ্ছাচারিতা বলে মনে করি। ওয়েস্ট বেঙ্গলে আছি না, চট্টগ্রামে আছি বুঝতে পারছি না। এই অরুণ চট্টোপাধ্য়ায় শিক্ষা দফতরের রাজ্য় অ্য়াডভাইসরি কাউন্সিলের ডেপুটি চেয়ারম্য়ান।”

পাশাপাশি, যোগেশচন্দ্র কলেজের ডে বিভাগের গর্ভর্নিং বডির মেম্বার প্রিন্সিপালের অভিযোগের প্রেক্ষিতে, পাল্টা যুক্তি দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ” যখন গোটা বিষয়টা আদালত অবধি গড়াল, প্রিন্সিপালের উচিত ছিল প্রেসিডেন্টকে বলা। কেউ কিছু জানল না। তাই ওকে বলা হয় VR নিতে।” যোগেশচন্দ্র কলেজে ২ পক্ষের বিবাদ মেটাতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে ল কলেজের পরিচালন সমিতি। ৬ বা ৭ ফেব্রুয়ারি কলেজে এসে বৈঠক করার কথা রয়েছে পরিচালন সমিতির সভাপতি মালা রায়ের।

আরও পড়ুন: Burdwan Medical Chaos: পড়ুয়াদের ২ গোষ্ঠীর বিবাদ, রণক্ষেত্র হয়ে উঠল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ চত্বর

আরও দেখুন



Source link

JagoronBarta http://www.jagoronbarta.com

জাগরণ বার্তা হল একটি অগ্রণী অনলাইন সংবাদ পোর্টাল যা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে নিরপেক্ষ, সঠিক এবং সময়োপযোগী সংবাদ পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিবেদিত। আমরা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা বাংলার প্রকৃত কণ্ঠস্বরকে প্রতিফলিত করে এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার গুরুত্বকে তুলে ধরে।

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours