সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, ব্রতদীপ ভট্টাচার্য ও সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: যাদবপুর কাণ্ডের প্রতিবাদে, পড়ুয়াদের ডাকে শুক্রবার মিছিলে নামল নাগরিক সমাজ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ভবন থেকে শুরু করে এইট বি বাসস্ট্যান্ড হয়ে সোজা যাদবপুর থানা পর্যন্ত যায় এই মিছিল। মিছিলে পড়ুয়াদের সঙ্গে পায়ে পা মেলান আক্রান্ত ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়ের বাবাও। এদিকে নাগরিক মিছিল নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলও।
হাসপাতালে অস্থায়ী উপাচার্য। সহ উপাচার্য ভিন রাজ্য়ে তারই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আলোচনায় বসার জন্য় সোমবারের ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন যাদবপুরের পড়ুয়ারা। এরইমধ্য়ে তাদের ডাকে শুক্রবার পথে নামল নাগরিক সমাজ। বিকেল ৪টে নাগাদ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ভবন থেকে শুরু করে এইট বি বাসস্ট্যান্ড হয়ে সোজা যাদবপুর থানা পর্যন্ত যায় এই মিছিল।
পডু়য়াদের সঙ্গে পায়ে পা মেলান আক্রান্ত ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়ের বাবাও। আহত ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়ের বাবা অমিত রায় বলেন,’ছাত্রদের যে দাবিগুলো, সেগুলো অত্য়ন্ত গণতান্ত্রিক দাবি। তাঁদের যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন, সেটা অত্য়ন্ত জরুরি দাবি। অত্য়ন্ত প্রয়োজনীয় দাবি। আশা করব কর্তৃপক্ষ আলোচনার জায়গাটাকে উন্মুক্ত করুন।’ নাগরিক মিছিলকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
পুর ও নগরোন্নয়মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার গণতান্ত্রিক সরকার, যে কেউ মিছিল করতেই পারে। কিন্তু যেভাবে গাড়িতে হ্যাকল করা হয়েছে, বুঝতে হবে ওঁরা ছাত্র, পাড়ার গুন্ডা নয় । সোমবারের মধ্য়ে বিশ্ববিদ্য়ালয় কর্তৃপক্ষ আলোচনায় না বসলে কড়া পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আহত ছাত্র অভিনব বসু বলেছিলেন, আমরা একটা সময় বেঁধে দিয়েছি। সোমবার দুপুর ১ টা অবধি। যে সোমবার দুপুর ১ টার মধ্যে যদিও ওঁরা আমাদের সাথে এসে আলোচনায় না বসেন, তাহলে আমরা সম্পূর্ণভাবে অ্যাডমিন ব্লক শাটডাউন করব। অ্যাডমিন বিষয়ক যা কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে হয় তা স্বাভাবিকভাবেই হবে। এর মধ্য়ে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নির্দেশ দিলেন ১৩ মার্চ পর্যন্ত কোনও সংগঠন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বা বাইরের চত্বরে আদালতের অনুমতি ছাড়া রাজনৈতিক সংগঠন মিছিল বা সভা করতে পারবে না।
আরও পড়ুন, যাদবপুরকাণ্ডে সৌগতর নিশানায় এবার পুলিশ, ‘জোর করিয়া না বলিলে আমরা কিছুই করিব না..’ !
সেই সঙ্গে বিচারপতি বলেন, পুলিশকে এবিষয়ে কড়া নজর রাখতে হবে, যাতে কেউ এই অভিযোগ করতে না পারে, যে কাউকে অনুমতি দেওয়া হল, আর কাউকে দেওয়া হল না। সম্প্রতি সুলেখা মোড় থেকে শুভেন্দু অধিকারীর মিছিলের অনুমতি নিয়ে টানাপোড়েনের জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট অবধি। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সেই মিছিলের রুট বদলে দেন। তিনি নির্দেশ দেন।নবীনা সিনেমা হল থেকে যাদবপুর থানার ১০০ ইয়ার্ড আগে অবধি মিছিল করা যাবে। থানার ১০০ ইয়ার্ড আগে ব্যারিকেড দেবে পুলিশ। ৭৫০ জনকে নিয়ে, রবিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত মিছিলের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি।
আরও দেখুন