ঔশী মুখোপাধ্য়ায়, শিবাশিস মৌলিক ও সমীরণ পাল, কলকাতা: কেউ দিচ্ছেন সার্জিকাল স্ট্রাইকের পরামর্শ। কেউ আবার বলছেন আর জি করের মতো প্য়ারা মিলিটারি ফোর্সের ক্য়াম্প দেওয়া উচিত। কেউ আবার টেনে আনছেন, দিল্লি কিম্বা হায়দরাবাদ ইউনিভার্সিটির প্রসঙ্গ! তৃণমূল নেতাদের মতো যাদবপুর নিয়ে হুমকি-হুঁশিয়ারি দিতে শোনা যাচ্ছে বিজেপি নেতাদের গলাতেও। যদিও, বিজেপিকে তৃণমূলের সঙ্গে এক সারিতে টেনে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন সুজন চক্রবর্তী। প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘কীভাবে আমরা সার্জিকাল স্ট্রাইক করেছিলাম, যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ে আপনারা দেখেছেন।’ বিজেপি রাজ্য় সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন,’ বিজেপি সরকারে আসবে ২৬-এ। তারপরে আর বেঁচে থাকবে না। ‘বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন,’ রাজ্য়পালের হস্তক্ষেপ, আর জি করের মতো প্য়ারা মিলিটারি ফোর্সের ক্য়াম্প দেওয়া উচিত। ‘
শুধু তৃণমূল নয়, বিজেপিরও হুমকি-হুঁশিয়ারির মুখে যাদবপুরের আন্দোলনকারী বামপন্থী পড়ুয়ারা। প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘কীভাবে আমরা সার্জিকাল স্ট্রাইক করেছিলাম, যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ে আপনারা দেখেছেন। একটা ক্য়াম্পাসের মধ্য়ে যা ইচ্ছা করবেন, এটা চলতে পারে না। কিছু হুলিগান টাইপ ছাত্র ওখানে বসে বারবার এরকম করবে, মন্ত্রী থেকে রাজ্য়পালকে অপমান করবে, এটা পশ্চিমবঙ্গের জন্য় সম্মানজনক নয়।’বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘অবিলম্বে ছাত্র সংসদেও তালা লাগনো উচিত, ওয়েবকুপার অফিসেও তালা লাগানো উচিত। ব্রাত্য় বসুর অফিসেও তালা লাগানো উচিত, তথাকথিত সেকু-মাকুদের ছাত্র সংগঠন, তাদেরকেও করা উচিত।’
যাদবপুরের আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা এর আগেও তৃণমূলের সমালোচনার মুখে পড়েছেন।একসময় মদ-গাঁজার প্রসঙ্গ তুলে যাদবপুরের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিল তৃণমূল। সেই সময় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মাথায় ছিলেন শঙকুদেব পণ্ডা, যিনি বর্তমানে বিজেপিতে। উল্টোদিকে যাদবপুরের বামপন্থী পড়ুয়ারা বরাবরই গেরুয়া শিবিরের চক্ষুশূল! বিজেপ নেতাদের চোখে তাঁরা দেশদ্রোহী। তাই এখন দুপক্ষই লাগাতার হুমকি দিচ্ছেন।বিজেপির রাজ্য় সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমাদের কাছে পদ্ধতি আছে কীভাবে করতে হয়। আমরা দিল্লি বিশ্ববিদ্য়ালয় থেকে বিদায় করেছি। তেলঙ্গানাতে হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্য়ালয় থেকে বিদায় করেছি। আমরা করেছি। বিজেপি হচ্ছে ওঝা, যারা দেশবিরোধী এই ভূতদেরকে তাড়াতে পারে।’এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল-বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করেছে সিপিএম।
আরও পড়ুন, মামাবাড়ি ঘুরতে গিয়ে ট্রেনে হারাল অ্যাডমিট কার্ড, পুলিশের সাহায্য পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে বসলেন ছাত্র !
সিপিএম-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘বিজেপি তৃণমূল এক।’ বিশ্ববিদ্য়ালয়ে রাজনীতি ঢুকিয়ে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করা হচ্ছে… এই অভিযোগ তুলে এদিন, গোলপার্ক থেকে মিছিল করে বিজেপির যুব মোর্চা।
আরও দেখুন