জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কোচির সরকারি আবাসনে মিলল আইআরএস অফিসার মণীশ বিজয়(৪৩), মণীষের দিদি শালিনী বিজয়(৪৯) ও তাঁর মা শকুন্তলা আগরওয়ালের পচাগলা দেহ। মণীশ অতিরিক্ত জিএসটি কমিশনার হিসেবে কাজ করতেন। মণীশ ও শালিনীর দেহ দুটি ঘরে পাওয়া যায়। তাদের মায়ের দেহ পাওয়া যায় অন্য ঘরে। পুলিস মৃতদেহগুলি ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। পাশাপাশি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এটি আসলে আত্মহত্য়া নাকি কোনও খুনের ঘটনা। পাশাপাশি তদন্তের শিকড় ছড়িয়েছে ঝাড়খণ্ড পর্যন্ত।
আরও পড়ুন-বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করছে ছাত্ররা, আত্মপ্রকাশ ২৬ ফেব্রুয়ারি!
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ঝাড়খণ্ডের সিবিআই আদালত শালিনীকে তলব করে। ঝাড়খণ্ডে ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে কাজ করতেন। অভিযোগ ছিল শালিনী প্রভাব খাটিয়ে ঝাড়খণ্ড পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। এনিয়ে প্রবল হইচই শুরু হয়। তার পরই এনিয়ে সিবিআই তদন্ত শুরু হয়ে যায়। সেই মামলায় হাজিরা দিতে বোনের সঙ্গে ঝাড়খণ্ডে যাওয়ার জন্য অফিসে ছুটি নিয়েছিলেন মণীশ। কিন্তু ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ার পরও তিনি যখন অফিসে আসছিলেন না তখন খোঁজখবর শুরু হয়। শেষপর্যন্ত তাদের দেহ পাওয়া যায় কাকানাদে কেন্দ্রীয় আবগারি বিভাগের আবাসনে।
আবাসনের একটি ঘরে বিছানার উপরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় শকুন্তলা আগরওয়ালকে। তার দেহ সাদা কাপড়ে ঢাকা ছিল। মৃতদেহের পাশে ছড়ানো ছিল ফুলের পাপড়ি। প্রতিবেশীরা বলছেন মণীশের পরিবার অন্যদের সঙ্গে খুব একটা মিশতেন না। প্রায়ই বাড়িতে পূজা অর্চনা করতেন। শকুন্তলা ছিলেন ক্রনিক ডায়বেটিস পেশেন্ট। নিয়মিত ইনসুলিন নিতেন।
শালিনীর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের আগে এনিয়ে তদন্ত করে ঝাড়খণ্ড পুলিস। তার পর মামলা সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তর করা হয়। গতবছর নভেম্বরে প্রায় ১২ বছর তদন্ত করার পর ওই মামলায় চার্জশিট দায়ের করে সিবিআই। ওই চার্জশিটে ৬০ জনের নাম করা হয়। সেই তালিকায় ছিলেন ঝাড়খণ্ড পাবলিক কমিশনের চেয়ারম্যানও। দুবছর আগে কাজ থেকে ছুটি নেনে শালিনী। তারপর আর তিনি কাজে ফেরেননি।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)