বৃহস্পতিবার বিরল অভিজ্ঞতা হল ক্রিকেটপ্রেমীদের। ধর্মশালায় হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার মাঠে আইপিএলের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল পঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালস।

টস জিতে বৃষ্টিবিঘ্নিত সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করছিল পঞ্জাব কিংস। ম্যাচ নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পরে শুরু হয় বৃষ্টির কারণে।

প্রথমে ব্য়াটিং করে শ্রেয়স আইয়ারদের দলের স্কোর যখন ১০.১ ওভারে ১২২/১, সেই সময়ই স্টেডিয়ামের একটি ফ্লাডলাইট নিভিয়ে দেওয়া হয়। পরে ধীরে ধীরে বাকি ফ্লাডলাইটও নিভে যায়।

প্রথমে মনে হয়েছিল, বিদ্যুৎ বিভ্রাট। পরে জানা যায়, ভারত-পাক সংঘাতের আবহে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবেই ধর্মশালায় ব্ল্যাক আউট করা হয়।

ক্রিকেটার ও দর্শকদের নিরাপদে মাঠ থেকে বার করা হয়। পরে আইপিএলের তরফে জানানো হয়, ম্যাচ অমীমাংসিত।

আইপিএলের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়ে গিয়েছে। তার চেয়েও বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, শৈলশহর ধর্মশালায় থাকা ক্রিকেটারেরা নিরাপদ তো?

ধর্মশালায় দুই শিবিরে খোঁজ নিয়ে, এবং কয়েকজন ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, সকলেই নিরাপদে রয়েছেন। তবে গোটা পরিস্থিতির জন্য সকলেই উদ্বিগ্ন। নিরাপত্তার বেনজির ঘেরাটোপে রাখা হয়েছে ক্রিকেটারদের। দুই দলের ক্রিকেটারদেরই রাখা হয়েছে একটিই হোটেলে। মাঠ থেকে হোটেলে ফিরিয়ে ঘরবন্দিই রাখা হয়েছে সকলকে। মাঠ থেকে হোটেলের গোটা পথ পুলিশি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। এক ক্রিকেটার জানালেন, ফোন ধরতে এবং তাঁদের গতিবিধির কথা জানাতেও নিষেধ করা হয়েছে।

কতদিন ধর্মশালায় আটক থাকতে হবে দুই দলের ক্রিকেটারদের? খোঁজ নিয়ে পাওয়া গেল চমকে ওঠার মতো তথ্য। শুক্রবার সকালে ট্রেনে করে দুই দলকে ফেরানো হবে দিল্লিতে।

আইপিএলে যেখানে এক শহর থেকে আর এক শহরে যাতায়াত করতে সব সময়ই বিমান ব্যবহার করা হয়, সেখানে ট্রেনে ক্রিকেটারদের সফর আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম। যুদ্ধের মতো পরিস্থিতিতে বেনজির এই পরিকল্পনাই নেওয়া হয়েছে।

ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার সঙ্গে যে কোনও আপোস করা হবে না, সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফে। সব দলেই রয়েছেন বিদেশি ক্রিকেটারও। তাঁদের নিয়েও বিশেষ যত্নশীল বোর্ড ও কেন্দ্রীয় সরকার। ছবি – আইএএনএস