
২০২২ সালে আইপিএলে সুযোগ পাওয়া পাথিরানা কিন্তু এখন জাতীয় দল এবং সিএসকের উভয়েরই অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। ২০২৩ সালে দলের খেতাব জয়ে ১৯ উইকেট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন তিনি।

বাড়িতে সঙ্গীতচর্চার পরিবেশের মাঝে বড় হয়ে প্রাথমিকভাবে সঙ্গীত এবং পরবর্তীতে পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন লঙ্কান তারকা। এমনকী তিনি বেসবেলও খেলতেন।

কিন্তু নিয়তি যা চায়, তাই হয়। হঠাৎই সব ছেড়েছুড়ে ক্রিকেটের প্রেমে পড়েন মাথিশা পাথিরানা। সেই প্রেম এতটাই বাড়ে যে তা বাড়তি সব ভাল লাগাকে ঢেকে দেয়।

এক আনকোরা তরুণকে কলেজে বোলিং করতে দেখে তাঁর সিনিয়ররা তাঁকে ক্রিকেট খেলার জন্য ডাক দেয়। তাঁদের ডাকে সাড়া দিয়ে ক্রিকেট খেলা শুরু। পাথিরানার বোলিং আক্রমণের সঙ্গে অনেকেই কিংবদন্তি লাসিথ মালিঙ্গার মিলও খুঁজে পান।

‘জুনিয়র মালিঙ্গা’ ভিন্ন ধরনের বোলিং অ্যাকশন ও দুরন্ত গতিতে বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে শোরগোল ফেলে দেন। তাঁর প্রতিভা আরেক কিংবদন্তি চামিণ্ডা ভাসের নজরে আসে।

ডাক পড়ে ট্রিনিটি কলেজ থেকে। এই কলেজ থেকেই উঠে এসেছেন একাধিক কিংবদন্তি লঙ্কান ক্রিকেটার।

তাঁর দুরন্ত বোলিং ক্লিপ ভাইরাল হয়। তিনি সিএসকের অ্যানালিস্টের নজরে পড়েন। তারপরে সিএসকের নেট। পাথিরানার বোলিংয়ে প্রতিভা খুঁজে পান মাহি। সেখান থেকে সোজা আইপিএল।

‘মালি’, এই নামেই পাথিরানাকে ডাকেন ধোনি, যার অর্থ ছোট ভাই। ঠিক বড় দাদার মতো তাঁকে আগলে রাখেন মাহি।

সাফল্যের পর ধোনির প্রতি চিরকৃতজ্ঞ পাথিরানা। সম্প্রতি তাঁর বাবা এক ভিডিওতে জানান যে পাথিরানা নিজেই তাঁকে বলেছিলেন, ‘শ্রীলঙ্কায় তুমি আমার বাবা, আর ভারতে এমএস ধোনি।’

এই মন্তব্যই কিন্তু ভারতীয় বিশ্বজয়ী অধিনায়কের প্রতি লঙ্কান তারকার সম্মান প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট।
Published at : 10 Apr 2025 04:24 PM (IST)
আরও জানুন আইপিএল
আরও দেখুন