সন্দীপ সরকার, কলকাতা: বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে, এই অজুহাতে ইডেন গার্ডেন্স (Eden Gardens) থেকে আইপিএলের (IPL 2025) কোয়ালিফায়ার টু ও ফাইনাল ম্যাচ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। যদিও আবহাওয়া দফতর সিএবিকে জানিয়ে দিয়েছিল, এত আগে থেকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস করা সম্ভব নয়। সেই রিপোর্ট বোর্ডে পাঠিয়ে সিএবি চেষ্টা করেছিল ম্যাচ ধরে রাখার। লাভ হয়নি। দুটি ম্যাচই সরিয়ে নেওয়া হয় ইডেন থেকে।
তবে রবিবার আমদাবাদে পঞ্জাব কিংস বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (PBKS vs MI) ম্যাচে কাঁটা হয়ে দাঁড়াল সেই বৃষ্টিই। বৃষ্টিতে নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ শুরু করা গেল না। নির্ধারিত সময়ের ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পরে, রাত পৌনে দশটায় শুরু হল ম্যাচ। রাতের দিকে যে আবার বৃষ্টি হবে না, হলফ করে বলা যাচ্ছে না। এমনকী, ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। যা নিয়ে বঙ্গ ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা সিএবিতে শুরু হয়েছে ক্ষোভবিক্ষোভ। আমদাবাদের বৃষ্টিতে বোর্ডেরই মুখ পুড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। আর ঘটনা হচ্ছে, রবিবার কলকাতায় ছিটেফোঁটা বৃষ্টিও হয়নি। ইডেনে যে নির্ধারিত সময়ে অনায়াসে ম্যাচ করা যেত, নিশ্চিত সিএবি।
আর এই পরিস্থিতিতে ফের বোর্ডেক দিকে তোপ দাগলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। রবিবার রাতের দিকে তিনি বিবৃতি দিলেন, ‘আমি আগেই প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে জানিয়েছিলাম যে, ইডেন থেকে প্লে অফ এবং ফাইনাল সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। এদিন এই বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে গেল। বিসিসিআই ও আইপিএলের গভর্নিং বডি যে স্যাটেলাইটের থ্রু দিয়ে আবহাওয়াবিদ হয়ে বলেছিল, এই সময় কলকাতায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেই কারণে ইডেন থেকে প্লে অফ ও ফাইনাল ম্যাচ সরিয়ে নেওয়া হল গুজরাতে, সেই স্যাটেলাইট যে আবহাওয়া সংক্রান্ত বিষয় নয় রাজনৈতিক সংক্রান্ত বিষয়ে প্রভাবিত হয়ে এই রিপোর্ট দিয়েছিল, তা এদিন পরিষ্কার বোঝা গেল।’
এখানে থেমে না থেকে অরূপ আরও বলেছেন, ‘সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে কলকাতার ক্রিকেটপ্রেমীরা যে বঞ্চিত হলেন, তা আজ স্পষ্ট হয়ে গেল। যে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আজ কলকাতায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল বলে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল, সেই স্যাটেলাইট ধরতেই পারল না যে, আজ নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামেও বৃষ্টি হতে পারে। কারণটা কোনওভাবেই আবহাওয়া সংক্রান্ত নয়, পুরোটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বাংলাকে বঞ্চনা করার লক্ষ্য নিয়ে করা, তা আরও একবার সকলে বুঝতে পারল।’
রাজনৈতিক চাপানউতোর যতই তীব্র হোক না কেন, বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীদের মন খারাপ কমছে না।
আরও দেখুন