কলকাতা: বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির মাঝেই আর অশ্বিন সকলকে চমকে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন। কিংবদন্তি বোলারের অবসরে জাতীয় দলের দরজা খুলে গিয়েছিল তাঁর জন্য অজিদের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে না পারলেও, জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন তনুষ কোটিয়ান (Tanush Kotian)। এবার তিনি কেকেআরের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগেই পঞ্জাব কিংস (KKR vs PBKS) শিবিরে যোগ দিলেন।
২৬ বছর বয়সি মুম্বই তারকা এবারের আইপিএল নিলামে অবিক্রিতই থেকে যান। এতদিন পর্যন্ত তিনি এবারের আইপিএলে অংশ নেননি। তবে সেই তনুষকেই পঞ্জাব শিবিরে ডেকে নেওয়া হল। ম্যাচের আগেরদিন ইডেন গার্ডেন্সে পঞ্জাব কিংসের নেটে তনুষকে বোলিং করতে দেখা যায়। মাঝে মাঝেই দলের স্পিন বোলিং কোচ সুনীল জোশির সঙ্গেও কথা বলতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
তবে কিংস শিবিরে ডাক পেলেও, তনুষের কিন্তু ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা নেই। কারণ তিনি কারুর বদলি ক্রিকেটার হিসাবে নন, ডাক পেয়েছেন নেট বোলার হিসাবে। পঞ্জাব শিবিরে যুজবেন্দ্র চাহালের লেগ স্পিনের পাশাপাশি হরপ্রীত ব্রার ও প্রবীন দুবে রয়েছেন। তবে এদের কেউই ডান হাতি অফস্পিনার নন। তনুষের অন্তর্ভুক্তি তাই পঞ্জাব ব্যাটারদের ভিন্ন ধরনের স্পিন খেলার সুযোগ করে দেবে। পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল পারফর্ম করা ক্রিকেটারদের প্রাধান্য যে আইপিএলে ক্রমবর্ধমান, সেটাও কিন্তু এই ঘটনা প্রমাণ করে দিল।
তনুষ কিন্তু মুম্বইয়ের সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। কে বলতে পারে, কেউ চোট আঘাতের কবলে পড়লে হয়তো তিনি পঞ্জাব স্কোয়াডে ডাক পাবেন। এ মরশুমে তো শার্দুল ঠাকুর, চেতন সাকারিয়ারা এভাবেই নেট বোলার থেকে বদলি হিসাবে মূল দলে ঢুকে পড়েছেন। তনুষের ভাগ্যে সে সুযোগ আসে কি না, সেটা দেখার বিষয় হতে চলেছে।
প্রসঙ্গত, গত বারের চ্যাম্পিয়ন কেকেআর অধিনায়ক শ্রেয়সের নতুন দল কী করতে সক্ষম, তা পঞ্জাবের বিরুদ্ধে গত ম্যাচেই ঠাউর করতে পেরেছে নাইটরা। মাত্র ১১২ রান তাড়া করতে নেমে লজ্জাজনক হারের সম্মুখীন হতে হয়েছিল কেকেআরকে। ৯৫ রানে অল আউট হয়েছিলেন আন্দ্রে রাসেলরা। এবার ঘরের মাঠে তাই বদলা নেওয়ার লড়াই। আবার উল্টোদিকে শ্রেয়সও গত বছর পর্যন্ত যে মাঠে সোনা ফলিয়েও ব্রাত্য হয়েছেন, সেই মাঠেই, সেই ফ্র্যাঞ্চাইজির বিরুদ্ধে আজ নিজেকে প্রমাণ করতে পুনরায় মরিয়া হয়ে মাঠে নামবে।
এই ম্যাচে রেকর্ড গড়ে। কখনও টুর্নামেন্টে সর্বাধিক ২৬২ রান তাড়া হয়। তো কখনও ১১১ রান ডিফেন্ড হয়। উপরন্তু, প্লে অফে পৌঁছতেও কেকেআর কার্যত মরণ-বাঁচন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। তাই নাইটদের এই ম্যাচে সর্বস্ব উজাড় করে দিতেই হবে। সবমিলিয়ে এক হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পটভূমি একেবারেই তৈরি।
আরও দেখুন