হায়দরাবাদ: প্লে অফের (IPL Play Off) দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়া চেন্নাই সুপার কিংস রজত পাতিদার-বিরাট কোহলিদের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে কার্যত হারিয়েও দিয়েছিল। অল্পের জন্য রক্ষা পায় আরসিবি।
প্লে অফের লড়াইয়ের বাইরে চলে যাওয়া রাজস্থান রয়্যালসকে হারাতে হিমশিম খেয়ে গিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ইডেনে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে মাত্র ১ রানে জিতেছে কেকেআর।
সোমবার আইপিএলে ফের এমনই এক ম্যাচ। যেখানে প্লে অফের দৌড়ে থাকা দিল্লি ক্যাপিটালস নামছে প্লে অফের দৌড় থেকে কার্যত ছিটকে যাওয়া সানরাইজার্স হায়দরাবাদের (SRH vs DC) বিরুদ্ধে। যে ম্যাচে হায়দরাবাদের হারানোর কিছু নেই। কিন্তু দিল্লিকে হারিয়ে দিলে প্লে অফের অঙ্কটা বদলে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে প্যাট কামিন্সদের হাতে।
দিল্লি ক্যাপিটালসের আইপিএলের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্তভাবে। টানা চার ম্যাচ জিতেছিলেন অক্ষর পটেলরা। তবে পরের ৬ ম্যাচে মাত্র ২টি জয়। ৪টি হার। চাপ বেড়েছে দিল্লির ওপর। ১০ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত পাোঁচে রয়েছে দিল্লি।
সোমবার দিল্লির ম্যাচ হায়দরাবাদে। ঘরের মাঠের উইকেটে একেবারেই মানিয়ে নিতে পারেনি দিল্লি। হায়দরাবাদে খেলতে হবে ভেবে নিশ্চয়ই স্বস্তি পাবেন অক্ষর পটেলরা। দিল্লি ও হায়দরাবাদ – দুই দলেরই ভরসা পেস বোলিং। তবে কুলদীপ যাদব ও অক্ষর পটেল থাকায় দিল্লির স্পিন আক্রমণও ধারাল। হায়দরাবাদ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্লে অফের দৌড় থেকে ছিটকে যায়নি। তবে বাকি সব ম্যাচ জিতলেও তারা ১৪ পয়েন্টে শেষ করবে। যা প্লে অফের টিকিট জোগাড় করে দেবে বলে মনে করছেন না কেউই। এবারের আইপিএলে সব দলের এত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই যে, ১৮ পয়েন্টেও প্লে অফ নিশ্চিত নাও হতে পারে। দুটি দল ইতিমধ্যেই ১৪ পয়েন্ট ছাপিয়ে গিয়েছে। দুটি দল ১৪ পয়েন্টেই রয়েছে। তাই হায়দরাবাদের প্লে অফে ওঠা কার্যত অলীক কল্পনা।
সোমবারের ম্যাচে আরও একটি লড়াই উপভোগ্য হতে পারে। মিচেল স্টার্ক বনাম হায়দরাবাদের দুই ওপেনার। অভিষেক শর্মা ও ট্র্যাভিস হেডের বিরুদ্ধে দুরন্ত রেকর্ড স্টার্কের। গত আইপিএলে কেকেআরের জার্সিতে ট্র্যাভিষেক জুটির আতঙ্ক হয়ে উঠেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ফাস্টবোলার। দিল্লিও স্টার্কের কাছে সেরকমই কিছু প্রত্যাশা করবে। স্টার্ক খেলেছেন, এরকম ৭টি ম্যাচে হায়দরাবাদ মাত্র একবার জিতেছে। ২০১৪ সালে। সোমবার কি হবে?
কলকাতা নাইট রাইডার্স ভক্তরা অবশ্যই চাইবেন সোমবার হায়দরাবাদ জিতুক। যাতে দিল্লি ১২ পয়েন্টেই আটকে থাকে। প্লে অফের দৌড়ে দিল্লি যে কেকেআরের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী।