জয়পুর: কোন জাদুকাঠির ছোঁয়ায় বদলে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians)?
প্রশ্ন উঠছে। চায়ে পে চর্চা চলছে। পাঁচবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নদের গত আইপিএলের দুর্গতি এখনও সমর্থকদের যন্ত্রণা দেয়। এবারের টুর্নামেন্টের শুরুটাও হয়েছিল দুঃস্বপ্নের। চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে প্রথম ম্যাচে পরাজয়। পরের ম্যাচে গুজরাত টাইটান্সের কাছে হার। প্রথম পাঁচ ম্যাচের চারটিতে হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে ছিল মুম্বই। ফের মাথাচাড়া দিচ্ছিল রোহিত শর্মাকে সরিয়ে হার্দিক পাণ্ড্যকে অধিনায়ক করার বিতর্কের আগুন।
ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচ থেকে। তারপর থেকে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে প্লে অফের দৌড়ে হার্দিকরা। রোহিত শর্মার ব্যাটে প্রলয় চলছে। মিডল অর্ডারের বিধ্বংসী ফর্ম। বল হাতে যশপ্রীত বুমরার প্রত্যাবর্তন। সব মিলিয়ে ফুটছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
আর মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ছন্দে থাকলে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, বৃহস্পতিবার তা হাড়ে হাড়ে টের পেল রাজস্থান রয়্যালস। সন্ধ্যার কলকাতায় তখন কালবৈশাখীর দাপট। জয়পুরের সোয়াই মান সিংহ স্টেডিয়ামেও ঝড়। মরুঝড় নয়। ব্যাটিং প্রলয়। চার-ছক্কার ঝড়। টস জিতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক রিয়ান পরাগ।
ইনিংস ওপেন করতে নেমে রোহিত ও রায়ান রিকেলটন শুরু থেকেই কোণঠাসা করে ফেললেন রাজস্থানের বোলিংকে। দুই ওপেনার ৭১ বলে যোগ করলেন ১১৬ রান। ৩৮ বলে ৬১ রান করে ফিরলেন রিকেলটন। রোহিতও ছিলেন বিধ্বংসী মেজাজে। শুরুতে এলবিডব্লিউ হয়েও ডিআরএস নিয়ে দ্বিতীয় জীবন পান। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৩৬ বলে করলেন ৫৩।
হিটম্যান ছন্দে ফিরতেই দৌড়চ্ছে মুম্বইয়ের ইনিংস। রোহিত ও রিকেলটনের তৈরা করা ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালালেন দুই অধিনায়ক! একজন, মুম্বইয়ের অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য। অধিনায়ক হিসাবে গুজরাত টাইটান্সকে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। মুম্বইয়ের অধিনায়ক হিসাবে ট্রফির দেখা পাননি। বৃহস্পতিবার ২৩ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত রইলেন ব্যাট হাতে।
আর একজন, সূর্যকুমার যাদব ভারতের টি-২০ দলের অধিনায়ক। তিনিও ২৩ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত রইলেন। ভেঙে দিলেন রবিন উথাপ্পার রেকর্ড। আইপিএলে টানা সবচেয়ে বেশি ইনিংসে ২৫ বা তার বেশি রান করার নজির ছিল উথাপ্পার। মোট ১০ বার সেই কীর্তি করেছিলেন উথাপ্পা। স্কাই করলেন একাদশবার।
রানের পাহাড়ে মুম্বই। ২০ ওভারে তুলল ২১৭/২। রাজস্থানকে প্লে অফের দৌড়ে সামান্যতম সম্ভাবনাও বাঁচিয়ে রাখতেও জিততেই হবে ম্যাচে। পারবেন বৈভব সূর্যবংশীরা?
আরও দেখুন