বেঙ্গালুরু: প্রথম তিন ওভারে তিনি যে শুধু ২৮ রান খরচ করেছিলেন তাই নয়, রাজস্থান রয়্যালস শিবিরে প্রথম ধাক্কাটাও দিয়েছিলেন। আইপিএলের ইতিহাসে কনিষ্ঠতম ক্রিকেটার বৈভব সূর্যবংশীকে ফিরিয়ে দিয়ে।
তিনি, ভুবনেশ্বর কুমার (RCB vs RR)। যাঁকে স্যুইংয়ের বেতাজ বাদশা বলে মেনে নেয় ভারতীয় ক্রিকেট। ১৮তম ওভারে যখন ভুবির হাতে বল তুলে দিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক রজত পাতিদার, ম্যাচ জিততে ১৮ বলে রাজস্থানের প্রয়োজন ৪০ রান।
পাতিদার ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি যে, তাঁর সেরা পেসারই সেই ওভারে জোড়া ছক্কা ও জোড়া চার হজম করবেন। এক ওভারে দেবেন ২২ রান! যা ভুবনেশ্বর কুমার সুলভ নয়।
সেই ওভারের পরই যেন নতুন প্রাণ পেল রাজস্থান রয়্যালস। ২০৫/৫ তাড়া করতে নেমে ভাল শুরুর পরেও যে চাপ তৈরি হয়েছিল, রাজস্থানকে তা কেটে বেরনোর দিশা দেখাতে শুরু করলেন ধ্রুব জুরেল, শুভমন দুবেরা। তখন মনে হতে শুরু করেছিল, বিরাট কোহলির ঝোড়ো ৭০ কিংবা দেবদত্ত পাড়িক্কলের আগ্রাসী হাফসেঞ্চুরিও হয়তো বিফলে যাবে।
পরিবর্তিত সমীকরণ দাঁড়াল, ১২ বলে রাজস্থানের চাই ১৮ রান। হাতে পাঁচ উইকেট। টি-২০ ক্রিকেটে আকছার যে রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় ব্যাটিং করা দল।
কিন্তু বৃহস্পতিবার আইপিএলের ম্যাচের স্ক্রিপ্টটা যেন যত্ন করে লিখেছিলেন ক্রিকেট ঈশ্বর। তা না হলে ১৯ তম ওভারে জশ হ্যাজলউডের অবিশ্বাস্য বোলিংয়ের আর কী ব্যাখ্যা সম্ভব! কেউ বলছেন অলৌকিক। কেউ বলছেন, অত্যাশ্চর্য। ১৯তম ওভারে বল করতে এসে কত রান খরচ করলেন অস্ট্রেলিয়ার ফাস্টবোলার? ১। ঠিকই পড়েছেন। ১ রান দিলেন হ্যাজলউড। তার চেয়েও তাৎপর্যপূর্ণ, তুলে নিলেন জোড়া উইকেট। ধ্রুব জুরেল ও জোফ্রা আর্চারকে ফেরালেন।
শেষ ওভারে রাজস্থানের দরকার ছিল ১৭ রান। প্রথম বলেই শুভম দুবেকে ফিরিয়ে দেন যশ দয়াল। ম্যাচের দেওয়াল লিখনও তখন কিছুটা পড়া যাচ্ছিল। তৃতীয় বলে রান আউট হয়ে যান ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৯৪/৯ স্কোরে আটকে গেল রাজস্থান। ১১ রানে ম্যাচ জিতে নিল আরসিবি।
৯ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় তিনে উঠে এল আরসিবি। টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে প্লে অফের দৌড় থেকে কার্যত ছিটকে গেল রাজস্থান। প্রথম দল হিসাবে। ৯ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট রিয়ান পরাগদের। শেষ পাঁচ ম্যাচে টানা জিতলেও ১৪ পয়েন্টে আটকে যাবে রাজস্থান। যা প্লে অফের দরজা খুলতে পারবে না বলেই ধারণা।
আরও দেখুন