চণ্ডীগড়: লিগ তালিকায় সবার উপরে শেষ করেছিল পঞ্জাব কিংস। কোয়ালিফায়ার ১-এ (IPL 2025 Qualifier 1) ঘরের মাঠেই মুল্লানপুরে নেমেছিল শ্রেয়স আইয়ারের নেতৃত্বাধীন দল। আশা ছিল চেনা পরিবেশে, ভাল ব্যাটিং পিচে বড় রানের ম্যাচ দেখা যাবে। তবে কোথায় কী! একেবারে তাসের ঘরের মতো ভাঙল পঞ্জাব কিংসের ব্যাটিং। আরসিবির বোলারদের বিরুদ্ধে (PBKS vs RCB) কার্যত অসহায় আত্মসমর্পন করলেন কিংস ব্যাটাররা। ১০১ রানেই শেষ হয়ে গেল পঞ্জাব কিংসের ইনিংস।
এদিন টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আরসিবি অধিনায়ক রজত পাতিদার। বিগত কয়েক ম্যাচে ইমপ্যাক্ট সাব হিসাবে খেললেও, এই ম্যাচে একাদশে ফেরেন তিনি। আরসিবি সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটিয়ে মরশুমে দলের সর্বোচ্চ উইকেটসংগ্রাহক জশ হ্যাজেলউডও (Josh Hazlewood) একাদশে চোট সারিয়ে ফেরেন। দলের বোলিং আক্রমণের ধার বাড়ে। আর সেই ধারেই নাস্তানাবুদ হল কিংস। শুরুতে তিন ফাস্ট বোলারের বিরুদ্ধে পঞ্জাবের টপ অর্ডার ব্যাটাররা একের পর এক সাজঘরে ফেরেন। আর পঞ্জাব মিডল অর্ডারকে নিজের স্পিনভেল্কিতে ধ্বংস করেন সুয়াশ শর্মা (Suyash Sharma)।
পঞ্জাব কিংসের হয়ে দলের সাফল্যে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন দলের টপ অর্ডার ব্যাটাররা। তবে এদিন শুরুতেই নিজের প্রথম ওভারে প্রিয়াংশ আর্যকে সাত রানে ফিরিয়ে কিংসকে বড় ধাক্কা দেন যশ দয়াল। এরপর যেন উইকেট পড়ার ধুম পড়ে যায়। পাঁচ ওভারের ব্যবধানে চার উইকেট হারায় পঞ্জাব কিংস। প্রভসিমরন থেকে শ্রেয়স, কেউই রান পাননি। এমনকী খুব কম ওভারই এমন কাটে যেখানে পঞ্জাব কিংস উইকেট হারায়নি।
দলের ব্যাটিংয়ের করুণ অবস্থা দেখে ইমপ্যাক্ট সাব হিসাবে এদিন মুশির খানকে নামানো হয়। তিনি তো খাতাই খুলতে পারেননি। বলার মধ্যে একমাত্র স্টোইনিস একটু লড়াই করছিলেন। তবে অজ়ি তারকাকে ২৬ রানে সাজঘরে ফেরান সুয়াশ। এদিন নয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা আজমাতুল্লা ওমরজ়াই দলকে কোনওক্রমে শতরানের গণ্ডি পার করতে সাহায্য করেন। তবে ওইটুকুই। ১০১ রানে গুটিয়ে যায় কিংসের ইনিংস।
এই মাঠে দিনকয়েক আগেই এমন এক ব্য়াটিং ব্যর্থতার পর কেকেআরের বিরুদ্ধে আইপিএল ইতিহাসের সর্বনিম্ন ১১১ রান ডিফেন্ড করেছিল পঞ্জাব কিংস। সেই ম্যাচ থেকেই অনুপ্রেরণা নেওয়ার চেষ্টা করবে শ্রেয়স আইয়ারের দল। তারা নিজেদের লক্ষ্যে আদৌ সফল হতে পারে না, আরসিবি খেতাবি লড়াইয়ের জন্য ফাইনালে পৌঁছয়, সেটাই দেখার বিষয়।
আরও দেখুন