নয়াদিল্লি: দীর্ঘ এক দশকের অপেক্ষা শেষ করে চলতি মরশুমে ইতিমধ্যেই আইপিএলের প্লে-অফে (IPL 2025) নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করে ফেলেছে পঞ্জাব কিংস (Punjab Kings)। ফের একবার কামাল করেছে অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার- কোচ রিকি পন্টিং জুটি। জুটি হিসাবে নিজেদের প্লে-অফে পৌঁছনোর ১০০ শতাংশ রেকর্ড বহাল রেখেছেন তাঁরা। লিগ পর্বে সবার উপরে শেষ করার সুযোগও রয়েছে পঞ্জাব কিংসের সামনে। আপাত অর্থে কিংস শিবিরে এখন খুশির হাওয়াই বওয়া উচিত। তবে উৎসবের বদলে কিংস শিবিরে ঝামেলার সিঁদুরে মেঘ। সেই ঝামেলা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে মামলা একেবার আদালত পর্যন্ত গড়াল।
ঘটনাটা ঠিক কী? ২১ এপ্রিল পঞ্জাব কিংসের দুই ডিরেক্টর নেস ওয়াদিয়া এবং মোহিত বর্মের আহ্বানে একটি অভূতপূর্ব সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। এই সাধারণ সভায় যে যে সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়, সেই নিয়েই যত বিবাদ। সভায় কেপিএইচ ড্রিম ক্রিকেট প্রাইভেট লিমিটেড, পঞ্জাব কিংসের কর্ণধার সংস্থায় এক নতুন ডিরেক্টর হিসাবে মুনীশ খান্নাকে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে দলের অন্যতম কর্ণধার প্রীতি জিন্টার (Preity Zinta) দাবি প্রথমত তো কোনও নিয়ম না মেনেই এই সভা আয়োজিত হয়। ১০ এপ্রিল এই সভার বিরোধিতা করে তিনি মেল করলেও তা মানা হয়নি। তবে তিনি ও আরেক ডিরেক্টর কর্ণ পাল শেষমেশ সভায় যান এবং সেখানে মুনীশের নিয়োগের বিরোধিতাও করেন। তব সেইসবে নাকি কর্ণপাত করা হয়নি। নেস ওয়াদিয়া ও বর্মন মিলে সাধারণ সভা আয়োজন করে নতুন ডিরেক্টর নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন। এই নিয়েই যত বিবাদ।
প্রীতি গোটা বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে এই সভা আইনিভাবে অবৈধ এই মর্মে চ্যালেঞ্জ করে মোহিত বর্মন ও নেস ওয়াদিয়ার বিরুদ্ধে চণ্ডীগড়ের এক কোর্টে মামলা করেন। নিজের আইনি নোটিসে প্রীতি দাবি করেন আদালত যেন এই সভাকে অবৈধ ঘোষণা করে খান্নাকে ডিরেক্টর হিসাবে নিয়োগ করাকে খারিজ করে। পাশাপাশি এই সভায় নেওয়া বাকি সমস্ত রকম সিদ্ধান্তেও স্থগিতাদেশ দেওয়ার আবেদন করেছেন পঞ্জাব কিংসের অন্যতম। এই নোটিসের দ্বারা প্রীতি ও কর্ণের অনুপস্থিতিতে যাতে এমন কোনও সভা না করা যায়, সেই বিষয়েও আবেদন করেছেন প্রীতি।
তবে দলের অন্দরমহলে এই ঝামেলার মাঝেও প্রীত কিন্তু পঞ্জাব কিংসের হয়ে গলা ফাটাতে মাঠে হাজির থাকছেন। শনিবার, ২৪ মে দিল্লি ক্য়াপিটালসের বিরুদ্ধে পঞ্জাব কিংস নিজেদের পরের ম্যাচ খেলতে নামবে। সেই ম্যাচেও স্ট্যান্ডে প্রীতিকে দেখা যাবে বলে আশা করাই যায়।
আরও দেখুন