ধর্মশালা: গতকাল ধর্মশালায় হামলার সতর্কতার মাঝে পঞ্জাব কিংস বনাম দিল্লি ক্যাপিটালসের (PBKS vs DC) ম্যাচ শুরু হলেও, তা শেষ করা সম্ভব হয়নি। প্রথম ইনিংসের মাঝপথে পৌঁছেই, ১০.১ ওভার পর খেলা বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে বাতিস্তম্ভের আলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা বলা হলেও, সকলেই মোটামুটি জানেন যে কী কারণে ম্যাচ বাতিল করা হয়েছিল। এবার অবশেষে ধর্মশালা ছাড়লেন পঞ্জাব ও দিল্লির তারকারাও।
গতকাল ম্যাচ বাতিলের পরে টুর্নামেন্ট খেলা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। হামলার আশঙ্কার জেরেই এক সপ্তাহের জন্য আইপিএল স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজই সেই ঘোষণাও করা হয়েছে বোর্ডের তরফে। তবে গতকাল ম্যাচ বাতিল ও আজ টুর্নামেন্ট স্থগিতাদেশের মাঝে দিল্লি ও পঞ্জাবের তারকারা কিন্তু চূড়ান্ত উদ্বেগের মধ্যে ধর্মশালাতেই আটকে ছিলেন। ইতিমধ্যেই ধর্মশালার বিমানবন্দর বন্ধ করা হয়েছে। এই কারণেই শ্রেয়স আইয়ার, মিচেল স্টার্করা আটকে পড়েছিলেন। তবে অবশেষে তাঁরা ধর্মশালা ছাড়লেন।
গতকাল পঞ্জাব-দিল্লি ম্যাচ বাতিল হওয়ার পর ক্রিকেটারদের কড়া নিরাপত্তার মোড়কে রাখা হয়েছিল। দুই দলের ক্রিকেটারদেরই রাখা হয়েছিল একটিই হোটেলে। মাঠ থেকে হোটেলে ফিরিয়ে ঘরবন্দিই রাখা হয়েছিল সকলকে। মাঠ থেকে হোটেলের গোটা পথ পুলিশি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়। এমনকী তাঁদের ফোন পর্যন্ত ধরতে মানা করা হয়েছিল বলে খবর। আজ তাঁদের এই বিপদ্দজনক স্থান থেকে বিশেষ বন্দে ভারত ট্রেনে করে দিল্লিতে ফিরিয়ে আনার কথা ছিল। ধর্মশালার সবথেকে কাছের রেলস্টেশন উনা থেকেই তারকাদের ট্রেনে চড়ার কথা ছিল।
Himachal Pradesh: Players from Delhi Capitals and Punjab Kings have departed from Dharamshala under tight security amid rising tensions between India and Pakistan pic.twitter.com/Xo8ZPrdbh5
— IANS (@ians_india) May 9, 2025
তেমনভাবেই তাঁরা অবশেষে ধর্মশালা ছাড়লেন। স্টার্কদের কয়েকজনকে গাড়ি এবং কিছুজনকে টিম বাসে করে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। প্রসঙ্গত, আজ বিবৃতিতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফে জানানো হয়, এক সপ্তাহের জন্য আইপিএল স্থগিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে টুর্নামেন্টের বাকি সূচি, এবং কোথায় খেলা হবে, তা জানানো হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে বোর্ডের তরফে।
দশ ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষের মধ্যে বেশিরভাগ দলেরই প্রতিনিধি, সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক দলের ক্রিকেটারদের আবেগ, অনুভূতির কথা বিশেষ করে মাথায় রাখা হয়েছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে। পাশাপাশি আলোচনা করা হয়েছে ম্যাচের সম্প্রচারকারী চ্যানেল ও স্পনসরদের সঙ্গেও। জানানো হয়েছে, ভারতের সশস্ত্র বাহিনির ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের।
আরও দেখুন