আমদাবাদ: লক্ষ্য ছিল ১৯৭ রান। সামনে ছিল নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে প্রথমবার গুজরাত টাইটান্সকে হারানোর সুযোগ। তবে এবারও হল না।আইপিএল ২০২৫-এ (IPL 2025) নাগাড়ে দ্বিতীয় ম্যাচে পরাজিত হল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (GT vs MI)। পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে গত ম্যাচ হারলে ৩৬ রানে পল্টনদের হারিয়ে জয়ে ফিরল গুজরাত টাইটান্স। মহম্মদ সিরাজ (Mohammed Siraj) ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর (Prasidh Krishna) ঝাঁঝালো ফাস্ট বোলিংয়েই মুম্বইয়েক জয়ের আশা জলে গেল। দুইজনেই দুইটি করে উইকেট নিলেন।
বড় রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল করার প্রয়োজন ছিল। মুম্বইয়ের হয়ে রোহিত শর্মা যেমনভাবে শুরুটা করেছিলেন, তাতে পল্টন সমর্থকদের আশাও জেগেছিল। তবে সিরাজের বলে দুই চার মারার পরেই এক অনবদ্য ইনস্যুইংয়ে স্টাম্প হারান রোহিত। রায়ান রিকেলটনকেও আউট করেন সিরাজই। ৩৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর মুম্বইয়ের হয়ে হাল ধরেন দলের দুই মিডল অর্ডার তারকা সূর্যকুমার যাদব ও তিলক বর্মা। তৃতীয় উইকেটে দুইজনে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও গড়েন।
তবে ঠিক যেই মুম্বই রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টায় যায়, তখনই উইকেট হারায়। নিজের প্রথম ওভারেই সেট তিলক বর্মাকে ৩৯ রানে সাজঘরে ফেরান প্রসিদ্ধ। অর্ধশতরানের দোরগোড়ায়, সূর্যকুমারকেও ৪৮ রানে আউট করেন প্রসিদ্ধই। মুম্বইয়ের শেষ আশা ছিলেন অধিনায়ক হার্দিক। তিনিও শর্ট থার্ড ম্যানে সহজ ক্যাচ দিয়ে ১১ রানে সাজঘরে ফেরেন। মিচেল স্যান্টনার ও নমন ধীর ১৮ রান করে যোগ করে ৩৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন বটে, তবে তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ছয় উইকেটের বিনিময়ে ১৬০ রানেই থামে পল্টনদের ইনিংস।
এদিন প্রথম ইনিংসে খানিকটা মন্থরভাবে শুরু করলেও পাওয়ার প্লের শেষের দিকে সুযোগ পেয়েই আক্রমণ হানান শুভমন গিল সাই সুদর্শনরা (Sai Sudarshan)। ষষ্ঠ ওভারে উঠে ২০ রান। বিনা উইকেটে ৬৬ রান উঠে পাওয়ার প্লেতে। তবে ছন্দে দেখানো শুভমন হার্দিক পাণ্ড্যর (Hardik Pandya) বলে ৩৮ রানে সাজঘরে ফেরেন। এই নিয়ে পাঁচ ইনিংসে চতুর্থবার হার্দিকের বলে আউট হলেন গিল। ওপেনিং পার্টনারকে হারালেও সুদর্শন নিজের ছন্দেই ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। জস বাটলারের সঙ্গে সুন্দর একটি পার্টনারশিপও গড়েন তিনি।
৩৩ বলে চারটি চার ও একটি ছক্কার সুবাদে এবারের আইপিএলে নাগাড়ে দ্বিতীয় অর্ধশতরান পূরণ করেন সুদর্শন। এই নিয়ে আইপিএলের শেষ ছয় ইনিংসে সুদর্শন চারটি অর্ধশতরান ও একটি শতরান হাঁকালেন। বাঁ-হাতি তামিলনাড়ু ব্যাটার যে স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন, তা বলাই বাহুল্য। বাটলারের সঙ্গে মিলে ইনিংস ভালভাবেই এগোচ্চিলেন তিনি। তবে ৩৯ রানে বাটলারকে সাজঘরে ফেরত পাঠান মুজিব-উর-রহমান। এরপরেই নিরন্তর ব্যবধানে উইকেট হারানো শুরু হয়। সুদর্শনও ট্রেন্ট বোল্টের বলে ৬৩ রানে ফেরেন।
শেষ পাঁচ ওভারে ৫৬ রানের বিনিময়ে ছয় উইকেট হারায় গুজরাত। শুরুটা ভাল করার পরেও, মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় পরপর উইকেট হারিয়ে ছন্নছাড়া হয়ে যায় গুজরাতের ইনিংস। রাদারফোর্ড (১৮) বাদে আর কোনও গুজরাত মিডল অর্ডার ব্যাটার দুই অঙ্কের রানই করতে পারেননি। এর ফলেই ১৯৬ রানে থামতে হয় গুজরাতকে।
আরও দেখুন