আমদাবাদ: একদিকে বৃষ্টি-কাঁটা। দুর্যোগের আশঙ্কায় যে কোয়ালিফায়ার ইডেন গার্ডেন্স থেকে সরিয়ে আমদাবাদে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেই ফাঁড়া পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা গেল না নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহর শহরেও। এমনই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামল যে, একটা সসময় খেলা ভেস্তে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আর কে না জানে যে, আইপিএলের নিয়ম মেনে ম্যাচ ভণ্ডুল হলে ফাইনালের টিকিট পেয়ে যেত পঞ্জাব কিংস। গ্রুপ পর্বে বেশি পয়েন্ট পাওয়ার সুবাদে।
অন্যদিকে, পঞ্জাব কিংসের (PBKS vs MI) বোলিংয়ের কড়া চ্যালেঞ্জ। রবিবার অর্শদীপ সিংহ, বিজয়কুমার বৈশাখ তো আছেনই, কোয়ালিফায়ার টুয়ে ফিট হয়ে মাঠে নেমে পড়লেন টি-২০ ফর্ম্যাটে বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার, লেগস্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল।
সঙ্গে রোহিত শর্মার ব্যর্থতা। এলিমিনেটরের মতো এদিনও শুরুতেই রোহিতের ক্যাচ পড়েছিল। এলিমিনেটরে দুবার প্রাণ পেয়ে ৫০ বলে ৮১ রান করে গুজরাত শিবিরে আঁধার নামিয়েছিলেন হিটম্যান। রবিবার অবশ্য সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না। মাত্র ৮ রান করে ফিরলেন।
আর একের পর এক প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়াই করলেন সূর্যকুমার যাদব। কেন তিনি জাতীয় টি-২০ দলের অধিনায়ক, ফের একবার দেখিয়ে দিলেন। মাত্র ২৬ বলে ৪৪ রান করলেন স্কাই। গড়ে ফেললেন রেকর্ডও। চলতি আইপিএলে সাতশো রান হয়ে গেল তাঁর। যা রেকর্ড। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কোনও ব্যাটার এর আগে এক আইপিএলে এত রান করেননি। ১৬ ম্যাচে ৭১৭ রান হয়ে গেল তাঁর।
সূর্যর রেকর্ড গড়ার রাতে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন তরুণ তিলক বর্মাও। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ২৯ বলে করলেন ৪৪ রান। তৃতীয় উইকেটে ৪২ বলে ৭২ রান যোগ করে ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে তুলে নিলেন স্কাই ও তিলক। শেষ দিকে চালিয়ে খেলে ১৮ বলে ৩৭ রান করে গেলেন নমন ধীর।
বৃষ্টির জন্য ম্যাচ শুরু হয়েছে নির্ধারিত সময়ের ২ গণ্টা ১৫ মিনিট পর, রাত ৯.৪৫-এ। কিন্তু বৃষ্টিতে যে মুম্বই ব্যাটিংয়ের বারুদ স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে যায়নি, তা দেখিয়ে দিলেন স্কাই, তিলক, নমনরা। প্রথমে ব্যাট করে রানের পাহাড়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে পাঁচবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা তুলল ২০৩/৬। ম্যাচ জেতার জন্য ২০৪ রান তুলতে হবে পঞ্জাব কিংসকে। শ্রেয়স আইয়ারদের কাজ সহজ হবে না, বলাই বাহুল্য।
ফাইনালের টিকিট পাবে কোন দল?
আরও দেখুন