মুল্লাপুর: বঞ্চনার জবাব দেওয়ার ম্যাচে ০ রানে আউট শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer)। নিজেদের ডেরায় বিপর্যস্ত পঞ্জাব কিংসের ব্যাটিং। ২৭ বল বাকি থাকতে প্রীতি জিন্টার দলের অল আউট হয়ে যাওয়া। বোর্ডে মাত্র ১১১ রান তুলে। যা মুল্লাপুরে আইপিএলে সর্বনিম্ন স্কোর। জোর চর্চা শুরু, বাংলা নববর্ষেই কি আইপিএলের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে আসবে কলকাতা নাইট রাইডার্স? অঙ্ক ঘোরাফেরা করতে শুরু করল, কেকেআর যদি ১৪.১ ওভারে লক্ষ্যপূরণ করে ফেলে, তাহলে রান রেটের জন্য মঙ্গলবারই পয়েন্ট টেবিলের সিংহাসন ছিনিয়ে নেবে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
এসব দেখে-শুনে ক্রিকেট ঈশ্বর কি মুচকি হেসেছিলেন? তা না হলে সহজ জয়ের লক্ষ্যে ছুটতে থাকা নাইটদের মাত্র ৩১ বলের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে ভেন্টিলেশনে ঢুকে পড়ার আর কী-ই বা ব্যাখ্যা থাকতে পারে!
অল্প রানের লক্ষ্য। বল হাতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অন্যতম নায়ক বরুণ চক্রবর্তী তো পঞ্জাব কিংস ইনিংসের শেষে বলেই দিলেন যে, এই পিচে ১৮০-১৯০ রান উঠত। ১১২ রান সহজেই তুলে নেওয়া উচিত।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল কেকেআর। প্রথম ওভারেই সুনীল নারাইনকে বোল্ড করে দিয়েছিলেন মার্কো জানসেন। পরের ওভারেই কুইন্টন ডি’কককে ফেরান জেভিয়ার বার্টলেট। ৭/২ হয়ে যাওয়া কেকেআর ইনিংসের হাল ধরেন মুম্বইয়ের দুই প্রজন্মের দুই মুখ। অভিজ্ঞ অজিঙ্ক রাহানে ও তরুণ তুর্কি অঙ্গকৃষ রঘুবংশী। তৃতীয় উইকেটে দুজনে ৫৫ রান যোগ করেন। চাপে পড়ে গিয়ে পঞ্জাব কিংসের এমন অবস্থা হয় যে, বার্টলেট একটি থ্রো করতে গিয়ে হাতের পিছন দিক দিকে বল গলিয়ে বাউন্ডারি দিয়ে বসেন। বিরল কাণ্ডে ৫ রান পায় কেকেআর।
কিন্তু তারপরই উলটপুরাণ। বল করতে এসেই রাহানেকে এলবিডব্লিউ করে দেন যুজবেন্দ্র চাহাল। পরপর ২ বলে রিঙ্কু সিংহ ও রামনদীপ সিংহকে আউট করেন চাহালই। ৩১ বলের ব্যবধানে ৬ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে পড়ে যায় কেকেআর। ৬২/২ থেকে ৭৯/৮। পঞ্জাব কিংসের অতি বড় সমর্থকও ভাবতে পারেননি যে, নাইটদের এই দশা হবে। আন্দ্রে রাসেল চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ব্যর্থ হন। ১১ বলে ১৭ রান করেন রাসেল। মার্কো জানসেনের বলে তিনি বোল্ড হতেই শেষ কেকেআরের লড়াই। ৯৫ রানে অল আউট হয়ে যায় কেকেআর। মাত্র ১৫.১ ওভারে। ১৬ রানে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে নেয় পঞ্জাব কিংস। আইপিএলের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে কম রানের পুঁজি নিয়ে ম্যাচ জয়ের নজির (সম্পূর্ণ ওভার খেলা হয়েছে এম ম্যাচের নিরিখে)।
আরও দেখুন