মুল্লাপুর: কেউ বলছিলেন, বীর-জারার লড়াই। কেউ বলছিলেন, শ্রেয়স আইয়ারের (Shreyas Iyer) বঞ্চনার জবাব দেওয়ার ম্যাচ।
কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম পঞ্জাব কিংস (KKR vs PBKS)। যুযুধান দুই দলের দুই মালিক – শাহরুখ খান ও প্রীতি জিন্টা যতই ঘনিষ্ঠ বন্ধু হোক না কেন, নাইটদের জন্য যে তীব্র লড়াইয়ের বরণডালা ছাড়া আর কিছু অপেক্ষা করছে না, ম্যাচের আগেই হাবেভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন শ্রেয়স। টস জিতে টগবগ করছিলেন। জানিয়েছিলেন, তিনি ব্যাটিং করবেন।
পঞ্জাব কিংসের দুই ওপেনার – প্রভশিমরন সিংহ ও এবারের আইপিএলের অন্যতম আবিষ্কার প্রিয়াংশ আর্য যেভাবে শুরু করেছিলেন, মনে হয়েছিল নাইটদের চোখে চোখ রেখে লড়াই করবে পঞ্জাব। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বৈভব অরোরাকে পিটিয়ে ২০ রান তুললেন দুজনে। ৩ ওভারের শেষে পঞ্জাবের স্কোর ৩৩/০। উড়তা পঞ্জাব পুরো।
সেই উড়তা পঞ্জাবকেই মাটিতে আছড়ে ফেললেন কেকেআর বোলাররা। শুরুটা করেছিলেন হর্ষিত রানা। বল করতে এসে নিজের প্রথম ওভারেই জোড়া ধাক্কা। প্রথম বলেই ফেরালেন প্রিয়াংশকে। সেই ওভারেই হর্ষিতের শিকার শ্রেয়স। যতটা টগবগে দেখাচ্ছিল টসের সময়, ততটাই চনমনে হয়ে ব্যাট করতে নেমেছিলেন শ্রেয়স। কিন্তু কেকেআরের প্রাক্তন অধিনায়ক হয়তো নিজের পুরনো সতীর্থদের দক্ষতাই পড়তে ভুল করলেন। হর্ষিতকে বাউন্ডারির বাইরে ফেলতে গিয়ে ধরা পড়লেন রামনদীপ সিংহের হাতে।
হর্ষিত শুরু করলেন। তারপর সুনীল নারাইন থেকে শুরু করে বরুণ চক্রবর্তী, অনরিক নখিয়া থেকে শুরু করে বৈভব অরোরা, কেউ বল হাতে দাদাগিরি দেখাতে বাদ গেলেন না। মাত্র ১১১ রানে অল আউট হয়ে গেল পঞ্জাব কিংস। ১৫.৩ ওভারে। হর্ষিতের তিন উইকেট। ২টি করে উইকেট বরুণ ও নারাইনের। একটি করে উইকেট পেলেন বৈভব ও নখিয়া।
একটা পরিসংখ্যান ঘোরাফেরা করছিল। আইপিএলে কোনও এক দলের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার নজির। যে রেকর্ড মঙ্গলবারই নিজের পকেটে ঢোকালেন সুনীল নারাইন। উমেশ যাদবকে পেরিয়ে গেলেন। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ৩৬ উইকেট হয়ে গেল তাঁর।
Innings Break!
An exceptional bowling performance from #KKR, led by Harshit Rana, bundles #PBKS for 1️⃣1️⃣1️⃣
Updates ▶️ https://t.co/sZtJIQoElZ#TATAIPL | #PBKSvKKR pic.twitter.com/cbWTsmAPii
— IndianPremierLeague (@IPL) April 15, 2025
এ নিয়ে আইপিএলের ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয়বার কেকেআরের বিরুদ্ধে অল আউট হল পঞ্জাব। ২০২২ সালের পর ফের। ২০২২ সালে তবু ১৩৭ তুলতে পেরেছিল বোর্ডে। মঙ্গলবার ১১১ রানেই শেষ।
আরও দেখুন