কলকাতা: লখনউ সুপার জায়ান্টসের ঘরের মাঠ একানা স্টেডিয়ামে বোলাররা বেশ কড়া চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন, এমনই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে পিচ আহামরি কঠিন না হলেও, দুরন্ত বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে দিল্লি ক্যাপিটালসের (LSG vs DC) হয়ে ম্যাচ জয়ের পথ সুগম করে দেন মুকেশ কুমার (Mukesh Kumar)।
বাংলার হয়ে খেলা ফাস্ট বোলার মঙ্গলবারের ম্যাচে ৩৩ রানের বিনিময়ে চার চার উইকেট নেন। তাঁর বজ্রকঠিন মানসিকতার পরিচয় দেওয়ার জন্য লখনউয়ের ব্যাটিং ইনিংসের বিশতম ওভারই যথেষ্ট। ওভারের প্রথম তিন বলে ১২ রান খেয়েছিলেন তিনি। তবে পরের তিন বলে এক রানও খরচ তো তিনি করেনইনি, উপরন্তু আয়ুষ বাদোনি ও ঋষভ পন্থের উইকেটও নেন তিনি। ৩৩ রানের বিনিময়ে চার উইকেট নিয়ে তাঁকেই ম্যাচের সেরা নির্ধারিত করা হয়।
ম্যাচ সেরা হয়ে মুকেশ কিন্তু সতীর্থ এবং অধিনায়ককেই কৃতিত্ব দেন। তিনি বলেন, ‘এই উইকেটে বোলিং করাটা বেশ উপভোগ করেছি। বেশ ভালই লাগছে। আমার দ্বিতীয় ওভার করার আগে আমি বাকি বোলারদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। ওরা বলছিল যে এই উইকেটে বল আটকে আসছে, তাই একটু বুদ্ধি খাটিয়ে বোলিং করেছিলাম। আর অধিনায়কের সঙ্গে তো আমি সবসময়ই কথা বলি। স্লোয়ার বল করছি না ইয়র্কার করব, এই নিয়ে আলোচনা হয়েই থাকে। আমার মনে হয় আজ মিচেল মার্শের উইকেটটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই উইকেটের পরেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়।’
A match-turning 4-fer 🎯
Mukesh Kumar’s brilliance earns him the Player of the Match as he guides #DC to a convincing victory! 💪
Relive his spell▶️ https://t.co/ofD4kAIVdj#TATAIPL | #LSGvDC | @DelhiCapitals pic.twitter.com/OQEPbP3tyV
— IndianPremierLeague (@IPL) April 22, 2025
শুরু থেকেই এহেন বোলিং করার পরিকল্পনা থাকলেও সাফল্য পাচ্ছিলেন না, তবে অবশেষে ফর্মে ফেরার পর এই ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে মুকেশ। ‘টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই এমন পারফর্ম করারই তো চেষ্টায় ছিলাম। তবে কিছুতেই সাফল্য পাচ্ছিলাম না। তবে একবার যখন ফর্মে ফিরেছি, তখন এটাকে কাজে লাগাতে চাই এবং আগামী দিনেও এমনভাবেই পারফর্ম করতে চাই।’ বলেন তিনি।
এদিন ম্যাচের শুরুটা করেছিলেন মুকেশ কুমার, আর জয়টা নিশ্চিত করলেন অভিষেক পোড়েল। আইপিএলের ম্যাচটা লখনউ সুপার জায়ান্টস বনাম দিল্লি ক্যাপিটালসের হলেও, ম্য়াচে নজর কাড়লেন বাংলার দুই তারকা ক্রিকেটার। তাঁদের দৌরাত্ম্যে লখনউকে আট উইকেটে হারাল ক্যাপিটালস। লখনউয়ের বিরুদ্ধে এই মরশুমে দুই ম্যাচই জিতল রাজধানীর ফ্র্যাঞ্চাইজি। লখনউয়ের হয়ে ব্যাট হাতে অর্ধশতরানের পর বল হাতে দুই উইকেট নিয়ে চেষ্টা করেছিলেন এডেন মারক্রাম। তবে তাতে জয় এল না। ১৬০ রান তাড়া করতে নেমে সহজেই জয় পেল রাজধানীর ফ্র্যাঞ্চাইজি।
আরও দেখুন