কলকাতা: ভারতীয় ক্রিকেট দলের তারকা পেসার। সদ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছেন দেশের জার্সিতে। আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দলের বোলিংয়ের অন্যতম স্তম্ভ।
সেই মহম্মদ শামির (Mohammed Shami) পরিবার ফের বিতর্কে। কেন? কারণ, জানা গিয়েছে, শামির বোন ও ভগ্নীপতি উত্তর প্রদেশে একশো দিনের কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টাকা পাচ্ছেন। তাঁদের নামও নথিবদ্ধ রয়েছে এই প্রকল্পে।
ভারতীয় দলের ফাস্টবোলার মহম্মদ শামির বোন শাবিনা ও তাঁর স্বামী ২০২১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত উত্তর প্রদেশের আমরোহায় এই কেন্দ্রীয় একশো দিনের প্রকল্পের জন্য টাকা পাচ্ছেন বলেই খবর। বছরে অন্তত একশো দিনের মজুরি পাবেন প্রত্যেকে, এটা নিশ্চিত করতে ২০০৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকার মহাত্মা গাঁধী ন্যাশানল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট (Mahatma Gandhi National Rural Employment Guarantee Act) বা এমজিএনআরইজিএ (MGNREGA) চালু করে। সেই প্রকল্পেই শাবিনা ও তাঁর স্বামী ২০২১ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত মজুরি পাচ্ছেন বলে খবর। যদিও এ নিয়ে মহম্মদ শামি বা তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কারও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের পেস বোলিং বিভাগকে নেতৃত্ব দিয়েছেন শামি। যশপ্রীত বুমরার (Jasprit Bumrah) অনুপস্থিতিতে তাঁর কাঁধেই ভারতের জোরে বোলিংয়ের দায়িত্ব ছিল। যদিও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (Champions Trophy) ফাইনালের আগে শামিকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল।
১ মার্চ থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়ে গিয়েছে। রমজান মাসে মুসলিমরা প্রত্যেকদিন রোজা রাখেন। রমজান মাসে সকালে সেহরি দিয়ে শুরু হয় দিন। সূর্যাস্তের পর ইফতারের মাধ্যমে রোজা ভাঙা হয়। দিনের বাকি সময়টা আর কিছু খাওয়া যায় না। নির্জলা উপবাস করেন মুসলিমরা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মহম্মদ শামির একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। যে ছবিতে শামিকে দেখা গিয়েছিল বোতল থেকে জল বা হেলথ ড্রিংক জাতীয় কিছু পান করতে। সেই ছবি দেখে কট্টরপন্থীদের অনেকে তোপ দেগেছেন শামির দিকে। বলাবলি শুরু হয়েছে, রোজা পালন করছেন না মুসলিম শামি।
যদিও এই বিতর্কে শামির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলে ভারতের তারকা পেসারকে সমর্থন করেছিলেন। বরং ধিক্কার জানানো হয়েছিল কট্টরপন্থীদের। অনেকেই লেখালিখি করেছিলেন, দেশের স্বার্থে শামি যেভাবে মাঠে নিজেকে নিংড়ে দিচ্ছেন, তাতে তাঁর বাহবা প্রাপ্য।
আরও দেখুন