NOW READING:
ঘাত-প্রত্যাঘাতের আবহে বাতিল হয়েছে PBKS vs DC ম্যাচ, মাঝ মরশুমে স্থগিতে হবে গোটা আইপিএল?
May 9, 2025

ঘাত-প্রত্যাঘাতের আবহে বাতিল হয়েছে PBKS vs DC ম্যাচ, মাঝ মরশুমে স্থগিতে হবে গোটা আইপিএল?

ঘাত-প্রত্যাঘাতের আবহে বাতিল হয়েছে PBKS vs DC ম্যাচ, মাঝ মরশুমে স্থগিতে হবে গোটা আইপিএল?
Listen to this article


নয়াদিল্লি: পঞ্জাব কিংস বনাম দিল্লি ক্যাপিটালসের (PBKS vs DC) ম্যাচ চলাকালীনই হঠাৎই নিভিয়ে দেওয়া হল ফ্লাডলাইট। থেমে গেল ম্যাচ। ভারত সরকারের তরফে আগেই জানানো হয়েছে অপারেশন সিঁদুর (Opreation Sindoor) এখনও শেষ হয়নি, তা চলছে। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর ভারতের প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানের একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে। চলছে কড়া আক্রমণ। এমন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাজনিত কারণে হামলার সতর্কতা হিসাবে ধর্মশালার এইপিসিএ স্টেডিয়ামের বাতিস্তম্ভের আলো বন্ধ করা হয়। মুহূর্তেই খালি করে দেওয়া হয় মাঠও। এবার শোনা যাচ্ছে বর্তমান আবহে শুধু ওই ম্যাচ নয়, আইপিএলের গোটা টুর্নামেন্টই স্থগিত হতে পারে।

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বর্তমান পরিস্থিতিতে ঘাত-প্রত্যাঘাত চলছেই। এই আবহে দেশবাসীর আবেগকে মাথায় রেখে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফে অন্তত আপাতত মেগা টুর্নামেন্ট স্থগিত করে দেওয়া হতে পারে বলে খবর। গতকালই আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের তরফে একটি বৈঠকও করা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। 

বর্তমান আবহে স্বাভাবিকভাবেই বিদেশি ক্রিকেটাররা বেশ খানিকটা উদ্বেগে রয়েছেন। এই অবস্থাতেও খেলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁদের বোর্ড এবং ভারত সরকারের তরফে আশ্বাসবাণী দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। গতকাল পঞ্জাব-দিল্লি ম্যাচ বাতিল হওয়ার পর ক্রিকেটারদের কড়া নিরাপত্তার মোড়কে রাখা হয়েছে। দুই দলের ক্রিকেটারদেরই রাখা হয়েছে একটিই হোটেলে। মাঠ থেকে হোটেলে ফিরিয়ে ঘরবন্দিই রাখা হয়েছে সকলকে। মাঠ থেকে হোটেলের গোটা পথ পুলিশি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। এমনকী তাঁদের ফোন পর্যন্ত ধরতে মানা করা হয়েছে বলে খবর।

ধর্মশালায় বন্ধ বিমানবন্দর। আজই তাই দুই দলের ক্রিকেটারদের ধর্মশালা থেকে ফেরাতে বিশেষ বন্দে ভারত ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে খবর। সেই ট্রেনে করেই শ্রেয়স, অক্ষররা ধর্মশালা ছাড়বেন। বিদেশি ক্রিকেটাররা নিরাপত্তা নিয়েও বিশেষভাবে তৎপর সরকার। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে নিজেদের পরের ম্যাচ খেলার জন্য় গুজরাত টাইটান্স ক্রিকেটাররা পৌঁছে গিয়েছেন। ধর্মশালায় পঞ্জাব কিংসের পরের ম্যাচটিকেও সরিয়ে আমদাবাদে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে আজকের লখনউ বনাম আরসিবি ম্যাচ আয়োজন ঘিরেও সিঁদুরে মেঘ দেখা গিয়েছে।

তাই হয়তো সবটা বিচার বিবেচনা করা হবে। বোর্ড ভারত সরকারের পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছে। শেষমেশ সরকারের গ্রিন লাইট বা নির্দেশ অনুযায়ীই আইপিএলের ম্যাচগুলি আয়োজিত হওয়া বা না হওয়া নির্ভরশীল।

আরও দেখুন



Source link