সন্দীপ সরকার, কলকাতা: দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। তিনি নিজেও একাধিকবার টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে প্রোমোশনের আর্জি জানিয়েছিলেন। অবশেষে তাঁকে প্রোমোশন দেওয়া হল যখন, দলের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছে। মরণ-বাঁচন পরিস্থিতি। চার ম্যাচের চারটিই জিততে হবে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে।
প্লে অফের ভাগ্য সরু সুতোর ওপর ঝুলছে, এমন পরিস্থিতিতে প্রোমোশন পেলেন আন্দ্রে রাসেল (Andre Russell)। ব্যাটিং অর্ডারের পাঁচ নম্বরে নামানো হল ক্যারিবিয়ান তারকাকে। তাঁর ব্যাটিং দক্ষতার ওপর টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার মর্যাদাও দিলেন রাসেল। ইডেনে ফের স্বমূর্তিতে। মাসল রাসেল অবতারের প্রত্যাবর্তন। আক্রান্ত হল রাজস্থান রয়্যালসের বোলিং।
রাসেল যখন ক্রিজে নামলেন, রবিবারের ইডেনে বেজায় চাপে কেকেআর। ১২.৪ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১১১/৩। হাতের চোট নিয়েও ম্যাচে খেলছেন অজিঙ্ক রাহানে। কিন্তু দারুণ ছন্দে ছিলেন না। ১২৫ স্ট্রাইক রেটে ২৪ বলে ৩০ আর যাই হোক, টি-২০ সুলভ নয়। সুনীল নারাইন রান পাননি। অপর ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ৩৫ রান করতে খরচ করলেন ২৫ বল।
রাসেলও শুরুতে সাবধানী ছিলেন। প্রথম ৯ বলে করলেন ২ রান। অনেকে ভাবছিলেন, দেড়শো পেরবে তো কেকেআরের স্কোর?
রাসেল নির্লিপ্ত। টি-২০ ক্রিকেটের চূড়ান্ত পেশাদার ক্যারিবিয়ান জানেন, কখন, কীভাবে গিয়ার পাল্টাতে হয়। শুরুর যানজট কাটতেই গাড়ি ছুটল ফিফথ গিয়ারে। মাত্র ২২ বলে হাফসেঞ্চুরি। চলতি আইপিএলে রাসেলের প্রথম হাফসেঞ্চুরি। ৩টি বাউন্ডারি, ছয় ছক্কা মেরে ফেলেছিলেন ততক্ষণে। ২৫ বলে ৫৭ রানে অপরাজিত রইলেন রাসেল।
সঙ্গত করলেন অঙ্গকৃষ রঘুবংশী। ৩১ বলে ৪৪ রান করলেন অঙ্গকৃষ। শেষ দিকে ৬ বলে ১৯ রানে অপরাজিত রইলেন রিঙ্কু সিংহ। কেকেআর প্রথমে ব্যাট করে তুলল ২০৬/৪।
আরও দেখুন