কলকাতা: আইপিএলে (IPL 2025) ৬ এপ্রিল কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম লখনউ সুপার জায়ান্টস (KKR vs LSG) ম্যাচ সরছে? নাকি থাকছে ইডেনেই (Eden Gardens)?
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সিএবি-কে কার্যত জানিয়েই দিয়েছে ম্যাচ সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা। অথচ ধোঁয়াশা তৈরি করল শুক্রবার বিকেলে কলকাতা পুলিশের একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট। যে পোস্ট দেখার পর আলোচনা শুরু হয়ে গেল, ম্যাচ কি সত্যিই ইডেন থেকে সরছে? নাকি শেষ মুহূর্তে হতে চলেছে কোনও নাটকীয় পরিবর্তন?
ঘটনা হচ্ছে, ৬ এপ্রিল রামনবমী। আর সেদিনই ইডেনে কেকেআর বনাম লখনউ ম্যাচ। গত কয়েক বছর ধরেই সারা রাজ্যে রামনবমীর দিন মিছিল বেরচ্ছে। এবারও সেই ছবি দেখা যাবে বলেই খবর। আর সেই কারণেই ইডেনে ম্যাচের সময় নিরাপত্তা দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। সিএবি-কে চিঠি দিয়ে সেটা জানিয়েও দেওয়া হয়েছিল কলকাতা পুলিশের তরফে। সিএবি আবার সেটা জানায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে। সিএবি-তে তিন পক্ষের একটা বৈঠকও হয়েছিল সোমবার। যদিও তাতে রফাসূত্র বেরয়নি। বৃহস্পতিবার সিএবি সূত্রে জানা গিয়েছিল, কেকেআর বনাম লখনউ ম্যাচ ইডেন থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সিএবি কর্তারা জানিয়েছিলেন, বোর্ড থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা না হলেও জানিয়েই দেওয়া হয়েছে ম্যাচ সরানোর কথা। সম্ভাব্য ভেন্যু হিসাবে গুয়াহাটির নামও শোনা গিয়েছিল।
তবে শুক্রবার বিকেলের দিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করা হয় কলকাতা পুলিশের তরফে। সেখানে জানানো হয়, ম্যাচ সরানো নিয়ে বা সূচি পরিবর্তন নিয়ে যে খবর ছড়িয়েছে, তা বিভ্রান্তিমূলক। যদিও কলকাতা পুলিশের পোস্টেও বিভ্রান্তি কমেনি। বরং ধোঁয়াশা আরও বেড়েছে।
Certain misleading posts are being circulated regarding the proposed rescheduling of the IPL match on 6th April. Kolkata Police remains firmly committed to ensuring the safety and security of all citizens. All deployment decisions are made keeping public safety as the top…
— Kolkata Police (@KolkataPolice) March 21, 2025
কারণ, সেই পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘৬ এপ্রিল আইপিএল ম্যাচের প্রস্তাবিত সূচি বদলের যে সমস্ত পোস্ট হচ্ছে তা বিভ্রান্তিমূলক। কলকাতা পুলিশ সকল নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। যা কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সবই মানুষের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই।’
সেই পোস্টে কোথাও বলা নেই যে, ম্যাচ ইডেনেই করার মতো প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বরং বারবার উল্লেখ করা হয়েছে, জনসাধারণের নিরাপত্তাই অগ্রাধিকার পাবে। সেই পোস্ট দেখে এনেকে বলাবলি করতে শুরু করেছেন, ম্যাচ হয়তো ইডেনেই ধরে রাখার চেষ্টা শুরু হয়েছে প্রশাসনিক মহলে। আবার কারও কারও মতে, ম্যাচ সরলে সেই দায় যে পুলিশের ওপর বর্তাবে না, সেই বার্তাই হয়তো দিতে চাওয়া হয়েছে।
বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরা অপেক্ষা করে রয়েছেন বোর্ডের ঘোষণার জন্য ।
আরও দেখুন