সন্দীপ সরকার, কলকাতা: সাত ম্যাচে ৪টি পরাজয়। তার মধ্যে শেষ ম্যাচে ৯৫ রানে অল আউটের লজ্জা। আইপিএলের প্লে অফের দৌড়ে থাকতে গেলে বাকি সাত ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে জিততে হবে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে (KKR vs GT)। যে পর্বে প্রথম পরীক্ষা সোমবার, ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens)। প্রতিপক্ষ? শুভমন গিলের গুজরাত টাইটান্স।
আর তার আগের দিন কেকেআরের অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে থেকে শুরু করে আন্দ্রে রাসেল, অনরিক নখিয়া, স্পেন্সার জনসনরা কলকাতায় থেকেও হোটেলে বিশ্রামে কাটালেন। মাঠমুখো হননি। কিছুটা কি গা ছাড়া মনোভাব?
কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবির যদি মুদ্রার এক পিঠ হয়, তাহলে আর এক পিঠ হল গুজরাত টাইটান্স। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ম্যাচ খেলেছে। রবিবার সকালে আমদাবাদ থেকে রওনা হয়ে দুপুর নাগাদ কলকাতায় পৌঁছন শুভমন গিলরা। আর শহরে পৌঁছনোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইডেনে প্র্যাক্টিস করতে চলে এলেন রশিদ খান, জস বাটলার, শাহরুখ খানের মতো প্রথম একাদশের এক ঝাঁক তারকা!
ছক ভাঙল গুজরাত টাইটান্স। কারই, আইপিএলের দস্তুরই হল, ম্যাচের পরের দিন বিশ্রাম থাকে। ক্রিকেটারদের তরতাজা করে তোলার অব্যর্থ দাওয়াই। তবু যদি কোনও দল ঘরের মাঠে পরপর ২-৩টি ম্যাচ খেলে, সেক্ষেত্রে ম্যাচের পরের দিন রিজার্ভ ক্রিকেটারদের নিয়ে ঐচ্ছিক অনুশীলন করার চল রয়েছে। ম্যাচ হারলেও কোনও কোনও দল প্রস্তুতিতে নেমে পড়ে ভুল-ত্রুটি শুধরে নিতে।
আর ট্র্যাভেল ডে থাকলে? ক্রিকেট নৈব নৈব চ। সেখানে কি না এক শহর থেকে আর এক শহরে পৌঁছে অনুশীলন? তাও আবার ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন, সেই ক্রিকেটারও হাজির নেটে?
ছক ভাঙল গুজরাত টাইটান্স। সেই সঙ্গে দেখিয়ে দিল, টুর্নামেন্টের মাঝ পর্বে পৌঁছেও কতটা মরিয়া তারা। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছটা নাগাদ ইডেনে পৌঁছে প্রায় ঘণ্টা তিনেক অনুশীলন করলেন রশিদ খান, জস বাটলার, শাহরুখ খানরা। সকলে আসেননি। কিন্তু দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ৫৪ বলে অপরাজিত ৯৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলা বাটলার কিংবা টি-২০ ক্রিকেটে বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার রশিদদের স্ফূর্তি দেখলে চমকে যেতে হয়। কে বলবে যে, ৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফের দৌড়ে সকলের আগে গুজরাত? বরং কেকেআরের চেয়েও বেশি মরিয়া দেখাচ্ছে তাদের।
রশিদ-বাটলারদের এই বাড়তি উদ্যমই না সোমবার নাইটদের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়!
আরও দেখুন