<p><strong>বেঙ্গালুরু:</strong> ১৭ বছরের খরা কাটিয়ে <a title="আইপিএল" href="https://bengali.abplive.com/topic/ipl" data-type="interlinkingkeywords">আইপিএল</a> চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (RCB IPL Champion)। তবে বিরাট <a title="কোহলি" href="https://bengali.abplive.com/topic/virat-kohli" data-type="interlinkingkeywords">কোহলি</a>দের (Virat Kohli) কাপ জয়ের উৎসব পরিণত হয়েছিল শোকসভায়। বেঙ্গালুরুতে আরসিবির (RCB) বিজয়োৎসবে পদপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছিলেন ১১ জন। যে ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু দলের মার্কেটিং প্রধান নিখিল সোসালে।</p>
<p>অবশেষে জামিন পেলেন নিখিল সোসালে। ১২ জুন, বৃহস্পতিবার কর্ণাটক হাইকোর্ট রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এবং ডিএনএ এন্টারটেইনমেন্ট নেটওয়ার্কের ৪ জন আধিকারিককে জামিন দিয়েছে, তাঁদের মধ্যে নিখিল সোসালে একজন। ৪ জুন এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল, যেখানে ১১ জনের মৃত্যু হয়। ৬ জুন নিখিল সোসালে সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।</p>
<p>নিখিল সোসালেকে পাসপোর্ট জমা করার শর্তে জামিন দেওয়া হয়েছে। বলে রাখা যাক, কর্ণাটক হাইকোর্ট এই মামলার শুনানি বুধবার পর্যন্ত স্থগিত রেখেছিল। এবার জাস্টিস এস আর কৃষ্ণ কুমার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স স্পোর্টস প্রাইভেট লিমিটেডের মার্কেটিং প্রধান নিখিল সোসালে ছাড়াও আরও ৩ জনের আবেদন গ্রহণ করে জামিনের নির্দেশ দেন ।</p>
<p>আবেদনকারীদের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল যে, তাঁদের কোনও তদন্ত ছাড়াই মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার নির্দেশে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা আরও বলেন যে, পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করেছে, যাদের পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় কোনও তদন্ত বা গ্রেফতার করার অধিকার ছিল না। অন্যদিকে, রাজ্য সরকার ৪ জনের গ্রেফতারকে সঠিক বলে জানায় এবং বলে যে পুলিশ সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই গ্রেফতার করেছে ।</p>
<p>আদালত কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রেখেছিল যে, তিনি কি পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় আরসিবি-র কর্মকর্তাদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন? এই বিষয়ে সরকার তাদের যুক্তি অথবা লিখিত বিবৃতিতে কিছু বলেনি ।</p>
<p>সূত্রের খবর, চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠানের জন্য কর্ণাটক ক্রিকেট সংস্থার তরফে প্রায় ৩০ হাজার পাস ইস্যু করা হয়েছিল। কিন্তু ভিড় করেন প্রায় ২ লক্ষ ক্রিকেটপ্রেমী। এর মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্টেডিয়ামের গেট বন্ধ করে দেয় পুলিশ। শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। তখনই টিম বাস পৌঁছয় স্টেডিয়ামে।বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সামালাতে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হন অনেকে। বাইরে যখন পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে, তখনও স্টেডিয়ামের ভিতরের সেলিব্রেশন থামেনি। যা নিয়ে বিতর্ক ও জলঘোলাও হয় বিস্তর।</p>



Source link