আমদাবাদ: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকেই আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। দেশের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছেন। আইপিএল জিতেছেন গুজরাত টাইটান্সের জার্সিতে। আর গত ২ মরশুম ধরে গুজরাত ফ্র্য়াঞ্চাইজির অধিনায়কও তিনি। নতুন মরশুম শুরুর আগে পুরনো দিনে ফিরে গেলেন গিল। আর স্মৃতিচারণায় উঠে এল সচিন তেন্ডুলকরের কথা। মাস্টার ব্লাস্টারই নাকি একমাত্র ব্যক্তি, যাঁর জন্য ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিলেন গিল। তাঁর বাবা লখিন্দর সিংহ সচিনের বিরাট ভক্ত বলেও জানান গিল।
আইপিএলের শুরুর দিনগুলোয় ফিরে যাচ্ছিলেন গিল। তিনি বলেন, ”আমার এখনও মনে আছে বাবার সঙ্গে আমি পাঁচকুলায় ম্য়াচ দেখতে গিয়েছিলাম। এটি আইপিএলের দ্বিতীয়, তৃতীয় মরশুম ছিল। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের প্র্যাক্টিস ম্য়াচ ছিল সেখানে। আমার হয়ত তখন ৯-১০ বছর বয়স। আমার মনে আছে সচিন স্যার ও গ্লেন ম্য়াক্সওয়েলের সঙ্গে আমার ফটোও রয়েছে।”
জিও হটস্টারে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গিল বলেন, ”মুম্বইয়ের অনুশীলনের সময় ওঁদের দিকে বলও ছুড়েছিলাম আমি। এগুলোই আমার আইপিএলের সময় শুরুর দিকের কিছু স্মৃতি। আমি নার্ভাস ছিলাম, কিন্তু আমি সচিন স্যারের কথা শুনেছিলাম। উনিই আমার ক্রিকেটে আসার অন্যতম কারণ। আমার বাবা সচিন স্যারের বিরাট ভক্ত। যদিও আমার বাবার পোস্টারে খুব একটা আগ্রহ নেই। তবে আমাদের গ্রামে সচিন স্যারের পোস্টার ছিল।”
উল্লেখ্য, অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের সদস্য় ছিলেন শুভমন গিল। এরপর ২০১৮ সালে কেকেআর তাঁকে নিলামে নিয়ে নেয়। এরপর থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কেকেআরেই খেলেছেন। ২০২২ থেকে গুজরাত টাইটান্স দলের সদস্য গিল। গত বছর প্রথমবার গুজরাতের নেতৃত্বভার সামলেছিলেন। হার্দিক পাণ্ড্য দল ছাড়ার পরই নেতৃত্বভার পান গিল। তারকা ভারতীয় ব্যাটার বলছেন, ”আমার মনে হয় লিডারশিপ এমন একটা বিষয় যা প্রতি মুহূর্তে আমাদের শেখায়। আমি প্রথম বছর অনেক কিছুই জানতাম না। নতুন নতুন প্লেয়ার, নতুন কম্বিনেশন, অনেক কিছু নিয়েই ভাবতে হয়। একজন অধিনায়ক হিসেবে প্লেয়ারদের সঙ্গে খোলামনে মিশতে হয়। প্রত্যেকের শক্তি, দুর্বলতা সম্পর্কে জানতে হয়। আমি প্রতিদিন শিখছি।”
আরও দেখুন