সন্দীপ সরকার, কলকাতা: বোলিং ঠিক আছে। সমস্যা ব্যাটিংয়ে। ভয়ডরহীন, ডাকাবুকো হতে পারছেন না নাইট ব্যাটাররা। ফিল্ডিংয়েও রান গলছে। ১০-১৫ রান রুখে দিলে ম্যাচ আরও জমে।
ম্যাচ হারার পর ইডেনে (Eden Gardens) দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের (KKR) অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে। রোগ যেন ধরেই ফেলেছেন ক্যাপ্টেন রাহানে। কিন্তু দাওয়াই কোথায়? কেকেআরের সমর্থকেরা আর দর্শনের কচকচানি শুনতে নারাজ। এবার ম্যাচে ফল চান। প্রিয় দলের জয় দেখতে চান। যে জয় দেখার জন্য সোমবার ইডেন গার্ডেন্স ভরিয়েছিলেন প্রায় ৬০ হাজার দর্শক।
যদিও ইডেন ছেড়ে বেরনোর সময় সকলের চোখেমুখে হতাশা। লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ইডেনে শেষ ম্যাচ তবু হাড্ডাহাড্ডি হয়েছিল। ২৩৮ রান তাড়া করতে নেমে ৪ রানে ম্যাচ হেরেছিল কেকেআর। সোমবার তো আত্মসমর্পণের ছবি। ৩৯ রানে গুজরাত টাইটান্সের কাছে হার।
পরিসংখ্যান বলছে, ৭ থেকে ১৫ ওভারের মধ্যে মুখ থুবড়ে পড়ছে কেকেআরের ব্যাটিং। চলতি আইপিএলে এই পর্বে মাত্র ৫২০ রান তুলেছে কেকেআর। চেন্নাই সুপার কিংসের ঠিক আগে রয়েছে এই তালিকায়। আর মাঝের এই ওভারে সবচেয়ে বেশি, ২৭টি উইকেট খুইয়েছে কেকেআর। আর মাঝের এই পর্বে ওভার প্রতি মাত্র ৭.৭৪ রান করে তুলেছে কেকেআর। চেন্নাই সুপার কিংসের পরেই যা দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।
সোমবারের ম্যাচের পর পয়েন্ট টেবিলের আপেক্ষিক ছবিটা খুব একটা বদলাল না। গুজরাত টাইটান্স শীর্ষে ছিল। শীর্ষেই রইল। ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট হয়ে গেল শুভমন গিলদের। বাকি ৬ ম্যাচের ২টিতে জিতলেই প্লে অফ পাকা। কেকেআর যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই রইল। ৮ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নাইটদের। চলতি মরশুমে প্রথমবার পরপর দু’ম্যাচে হার। পয়েন্ট টেবিলে সাতেই রইল কেকেআর। তবে অঙ্ক আরও জটিল হল। কারণ, ম্যাজিক ফিগার ১৬-তে পৌঁছতে হলে বাকি ৬ ম্যাচের মধ্যে ৫টিতে জিততে হবে নাইটদের। অসম্ভব নয়। কিন্তু বেজায় কঠিন।
১০ পয়েন্টে রয়েছে চারটি দল। দিল্লি ক্যাপিটালস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, পঞ্জাব কিংস ও লখনউ সুপার জায়ান্টস। রান রেট ভাল থাকায় দিল্লি রয়েছে দুইয়ে, তিনে আরসিবি, চারে পঞ্জাব ও পাঁচে লখনউ। ছয়ে রয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তাদের ঝুলিতে আট পয়েন্ট। রাজস্থান রয়্যালস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও চেন্নাই সুপার কিংসের ঝুলিতে রয়েছে ৪ পয়েন্ট করে। তালিকায় আট, নয় ও দশ নম্বরে এই তিন দল।
আরও দেখুন