NOW READING:
স্বপ্নপূরণের বর্ষ ২০২৫, প্রথমবার আইপিএল খেতাব জিততেই কেঁদে ফেললেন কোহলি
June 3, 2025

স্বপ্নপূরণের বর্ষ ২০২৫, প্রথমবার আইপিএল খেতাব জিততেই কেঁদে ফেললেন কোহলি

স্বপ্নপূরণের বর্ষ ২০২৫, প্রথমবার আইপিএল খেতাব জিততেই কেঁদে ফেললেন কোহলি
Listen to this article


আমদাবাদ: ১৮ বছর , বারংবার চেষ্টা করেও ব্যর্থতাই হাতে এসেছিল। তবে ২০২৫ (IPL 2025 Final) সালটাই যেন স্বপ্নপূরণের বর্ষ। হ্যারি কেন এ বছরই কেরিয়ারের প্রথম ট্রফি জিতেছেন। ৯১ বছর পর খেতাব জিতেছে গো আহেড ইগলস, সাত দশক পর ট্রফি এসেছে বলনিয়ার ঘরে। মঙ্গলবার, শেষমেশ স্বপপূরন হল বিরাট কোহলিরও (Virat Kohli)। ছয় রানে পঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে অবশেষে আইপিএল ট্রফি জিতল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

দল যতই ট্রফি ঘরে তোলার কাছে এগিয়েছে, ততই আবেগে ভেসেছেন কোহলি। আর ম্যাচ শেষ হতেই মাটিতে শুয়ে পড়ে কান্নায় ভাসলেন তিনি। আমদাবাদ বছর দেড়েক আগে বিশ্বকাপ ফাইনালে হেরে কান্নায় ভেঙেছিলেন কোহলি। তবে আজকের কান্না আনন্দের, স্বপ্নপূরনের। এবার জয়ের আনন্দে কোহলির চোখে জল। যে মাঠে বিশ্বকাপ ট্রফি হাতছাড়া হয়েছিল, সেই নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামেই কোহলির হাতে উঠল আইপিএল ট্রফি।     

 

ম্যাচের শেষের দিকে বিরাটের ঠিক পিছনেই ছিলেন আরসিবি প্রাক্তনী এবি ডিভিলিয়ার্স। এবার তিনি সঞ্চালনার দায়িত্বে রয়েছেন। সেই কারণেই মাঠে উপস্থিত ছিলেন এবিডি। কোহলিকে বারংবারই তাঁর সঙ্গে কথা বলতে দেখা যাচ্ছিল। গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন বিরাট-পত্নী তথা বলিউড অভিনেত্রী  অনুষ্কা। ম্যাচ শেষে হতেই গ্যালারি থেকে ছুটে আসেন অনুষ্কা, উষ্ণ আলিঙ্গন করেন কোহলিকে। বিরাটকেও তাঁর স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভাসতে দেখা যায়। এই ঘটনাগুলি প্রমাণ করে দেয় এই ট্রফি জয়টা কোহলির জন্য ঠিক কতটা আবেগের, উচ্ছ্বাসের, আনন্দের। 

 

প্রথমে ব্যাট করে যখন আরসিবি ১৯০/৯ তোলে, আরসিবি-র অতি বড় সমর্থকও হয়তো খুশি ছিলেন না। এই মাঠেই ২৪ ঘণ্টা আগে দুশোর বেশি রান তাড়া করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়েছে পঞ্জাব কিংস। শ্রেয়সদের সামনে কি যথেষ্ট রানের লক্ষ্য রাখা গেল? কেউ কেউ কাঠগড়ায় তুলছিলেন খোদ কোহলিকেই। বিশেষ করে তাঁর ৩৫ বলে ৪৩ রানের ইনিংসকে মন্থর বলে তোপ দাগা হচ্ছিল। বলা হচ্ছিল, টি-২০ ক্রিকেটের পক্ষে অনুপযুক্ত।

যদিও অন্যরকম কিছু ভেবেছিলেন আরসিবির বোলাররা। প্রথম ২ ওভারে পঞ্জাব ২৩ রান তুলে দেয়। ক্যাচ পড়ে প্রভসিমরন সিংহের। তবুও হাল ছাড়েনি আরসিবি। মাঝের ওভারে দুরন্ত স্পেল করে যান ক্রুণাল পাণ্ড্য। ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে যান। ২ উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার। একটি করে উইকেট যশ দয়াল, জশ হ্যাজেলউড ও রোমারিও শেফার্ডের। শ্রেয়স আইয়ারকে ফিরিয়ে প্রভসিমরনের ক্যাচ ফেলার প্রায়শ্চিত্ত করেন শেফার্ড। ১৮৪/৭ স্কোরে আটকে যায় পঞ্জাব।





Source link