লখনউ: টানা পাঁচ ম্যাচে হার, ইতিহাসে প্রথমবার। আইপিএলের (IPL 2025) লিগ তালিকায় একেবারে তলানিতে ছিল চেন্নাই সুপার কিংস। অবশেষে সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ইনফর্ম লখনউ সুপার জায়ান্টসকে (LSG vs CSK) হারিয়ে জয়ের সরণিতে ফিরেছে সিএসকে। হলুদ ব্রিগেডের হয়ে তাঁদের জয়ে সবথেকে প্রভাবশালী অবদান রাখলেন ৪৩ বছরের এক তরুণ। ১১ বলে ২৬ রানের ইনিংসে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দলের জয় সুনিশ্চিত করনে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (MS Dhoni)। তাঁর এই ইনিংসের জন্য তাঁকেই ম্যাচসেরার পুরস্কার দেওয়া হয়।
৪৩ বছরের ধোনিই আইপিএল ইতিহাসে সবথেকে বেশি ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করলেন। তবে এই পুরস্কার তিনি খানিকটা বিস্মিতই হন। বরং তাঁর বদলে তাঁর মনে নুর আমেদকে সেই পুরস্কার দেওয়া উচিত ছিল বলেই মনে হয় ধোনির। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সিএসকে অধিনায়ক বলেন, ‘আমার তো আজ এই পুরস্কার পেয়ে মনে হচ্ছিল আমায় ওরা কেন এই পুরস্কার দিচ্ছে? নুর তো খুবই ভাল বল করেছিল।’ নুর আমেদ কোনও উইকেট না পেলেও, নিজের চার ওভারে মাত্র ১৩ রান খরচ করেন।
পরপর পাঁচ হারের পর জয়ে ফিরে ধোনির মত হয়তো এই জয় দলের সকলের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। তিনি বলেন, ‘ম্যাচ জিততে তো ভালই লাগে। এমন টুর্নামেন্টে তো সকলেই ম্যাচ জিততে চায়। দুর্ভাগ্যবশত যে কারণেই হোক না কেন, আগের ম্যাচগুলিতে ফলাফল আমাদের পক্ষে যায়নি। এর অনেক কারণই থাকতে পারে। তবে জিতে ভালই লাগছে। গোটা দল ম্যাচ জিতলে আত্মবিশ্বাস পায় এবং যে যে জায়গায় আমরা উন্নতি করতে চাই, সেটা করতেও সাহায্য করে।’
এ মরশুমে ইতিমধ্যেই পিচ নিয়ে কম চর্চা হয়নি। কেকেআর অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে ইডেনের পিচ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তারপর তো যা হয়েছে, তা সবাই মোটামুটি জানেন। সিএসকে কোচ স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের মুখেও চিপকের পিচ নিয়ে অসন্তোষ ধরা পড়েছিল। এবার লখনউতে ম্যাচ জিতে ধোনির গলাতেও অনেকটাই একই সুর ধরা পড়ল।
‘চেন্নাইয়ের উইকেটটা খানিকটা মন্থর গতির। আমরা যখন বাইরের মাঠে খেলেছি, তখন আমাদের ব্যাটিংটা তুলনামূলক ভাল পারফর্ম করেছে। হয়তো আমাদের আরেকটু ভাল উইকেটে খেলার প্রয়োজন যাতে ব্যাটারার নিজেদের শট খেলতে ভরসা পায়। আমরা দমে দমে নিজেদের ক্রিকেটটা খেলতে চাই না।’ বলেন মাহি।
আরও দেখুন