সন্দীপ সরকার, কলকাতা: ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে তিনি তখন নির্বাসিত। সকলে ধরেই নিয়েছিলেন যে, আইপিএল দল থেকেও তাঁকে ছেঁটে ফেলবে কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR)।
কিন্তু আস্থা হারাননি শাহরুখ খান। সকলকে হতবাক করে দিয়ে আন্দ্রে রাসেলকে (Andre Russell) রিটেন করেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ক্যারিবিয়ান তারকাও সেই ঋণ মনে রেখেছেন। ব্যাটে হোক কিংবা বলে, সুযোগ পেলেই কৃতজ্ঞতা জানান যেন। সব সময় সাফল্য পান না। কিন্তু যেদিন সফল হন, একাই ম্যাচের রং পাল্টে দেন।
রবিবার ছিল সেরকমই এক সন্ধে। রাসেলের সন্ধে। ইডেনে রাজস্থান রয়্যালসকে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে মাত্র ১ রানে হারাল কেকেআর। সেই সঙ্গে বেঁচে রইল গতবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নদের প্লে অফে ওঠার স্বপ্ন। কেকেআরের জয়ের নায়ক রাসেল। ম্যাচের সেরাও হলেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার। প্রথমে ব্যাটে তাণ্ডব। পরে বল হাতে চাপের মুখে মাথা ঠান্ডা রেখে করা এক ওভার।
ইডেনে ম্যাচের প্রথমার্ধে দেখা গিয়েছিল আন্দ্রে ‘মাসল’ রাসেলের ব্যাট হাতে প্রলয়। মাত্র ২২ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন। চলতি আইপিএলে ক্যারিবিয়ান তারকার প্রথম হাফসেঞ্চুরি। চারটি বাউন্ডারি, ছয় ছক্কা মেরে ২৫ বলে ৫৭ রানে অপরাজিত রইলেন রাসেল। পরে বল হাতে ১৯তম ওভারে দিলেন ১১ রান। রাজস্থান রয়্যালসের ব্যাটারদের মারমুখী মেজাজ মাথায় রাখলে, ১১ রানই তখন যেন কৃপণ বোলিং।
ম্যাচের সেরা হওয়ার পর রাসেল বললেন, ‘আমরা সকলেই জানি এই ম্যাচের গুরুত্ব। আমাদের সামনে চারটি ম্যাচ এবং সেই চার ম্যাচই ফাইনালের মতো। আজ যেভাবে খেললাম আর জিতলাম, তাতে আমি খুশি।’ ইডেনের পিচে যে ব্যাটিং সহজ ছিল না, জানিয়েছেন রাসেল। বলেছেন, ‘ক্রিজে গিয়েই বড় শট খেলার মতো উইকেট সহজ ছিল না। আমি খুশি যে বাউন্ডারি মারতে পেরেছি। শেষের দিকে রিঙ্কুও বড় শট খেলেছে।’
শেষ পাঁচ ওভারে ৮৫ রান তুলে ম্যাচের রং পাল্টে দেন রাসেল-রিঙ্কুরা। রাসেল বলছেন, ‘স্কোরবোর্ড দেখে বোঝা যায়, কোন বোলারকে আক্রমণ করব আর কাকে দেখে খেলব। আমি যখন শেষ পাঁচ ওভারের কথা ভাবলাম, ঠিকই করে নিয়েছিলাম, ৩০ বলের মধ্যে আমি যদি ১৫টি খেলতে পারি, তাহলে আমার গায়ের জোর দিয়েই ৪০ রান করে দেব।’
রাসেলের সেই অঙ্কেই ইডেনে হল্লা বোল স্তব্ধ করে বেজে উঠল করব লড়ব জিতব রে জয়োধ্বনি…
আরও দেখুন