জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আন্দোলনের চাপে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরই বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে আক্রমণ শুরু হয়ে যায়। বাধ্য হয়েই তারা আন্দোলেনেও নামেন। এনিয়ে সোচ্চার হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর বক্তব্য ভারতের ১৪০ কোটি মানুষ বাংলাদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
আরও পড়ুন-‘বাংলাদেশের ঘটনা মনে করে ভাবছে ক্ষমতা দখল করব’!
লালকেল্লায় তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতে ১৪০ কোটি মানুষ বাংলাদেশের হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। বাংলাদেশের উন্নয়ণ হোক ভারত তা চিরকালই কামনা করে। আশাকরি খুব দ্রুত বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। ভারত চায় বাংলাদেশ হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হোক।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে দেশের মহিলাদের নিরাপত্তার উপরেও জোর দেন। আরজিকরের ঘটনা নিয়ে গোটা বাংলায় যখন তোলপাড় চলছে তখন প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্য যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী আজ লাল্লকেল্লা থেকে দেওয়া ভাষণে বলেন, মহিলাদের প্রতি যে অত্যাচার হচ্ছে তাতে মানুষের আক্রোশ বাড়ছে। এটা বুঝতে পারি। রাজ্য় সরকারগুলিকে এনিয়ে ভাবতে হবে। মহিলাদের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধ হলে তা দ্রুত তদন্ত করতে হবে, অপরাধীদের কড়া সাজা হোক। মানুষের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। ধর্ষণের মতো কোনও ঘটনা যখন ঘটে তখন তা নিয়ে বহু চর্চা হয়। কিন্তু অপরাধীর যখন সাজা হয় তখন কোনও খবর হয় না। সময়ের দাবি, যার সাজা হল তা নিয়ে চর্চা হোক যাতে অন্যদের মনে এনিয়ে ভয় তৈরি হয়।
উল্লেখ্য, আরজিকরের ঘটনার জেরে গতকাল কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় রাত দখল করো কর্মসূচি পালন করা হয়। যাদবপুর থেকে কলকাতা উত্তরের বিভিন্ন জায়গায় রাতে মহিলার জড়ো হয়ে আরজিকরের দোষীর শাস্তির দাবিতে সভা করেন। পাশাপাশি তদন্তে সরকারের গফিলতির কথা টেনে আনেন। প্রধানমন্ত্রী ওই ঘটনার কথা উল্লেখ না করলেও অনেকটাই স্পষ্ট বার্তা দিয়ে দিলেন, আর নয়। অপরাধীদের কড়া শাস্তি চাই।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)