আমদাবাদ: নিশ্চিত শতরান মাঠেই ফেলে এসেছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে ম্য়াচে পাঞ্জাব কিংসের ম্য়াচে শ্রেয়সের ব্যাট থেকে তিন অঙ্কের রান এল না বলে অনেক ক্রিকেটপ্রেমীই হতাশ হয়েছিলেন। কারণ ৯৭ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছিলেন শ্রেয়স। কিন্তু তিনি নিজে কিন্তু একটুকুও হতাশ হননি। সেই গল্পই শোনালেন মঙ্গলবারের আইপিএল ম্য়াচে শ্রেয়সের সঙ্গে ব্যাট হাতে ২২ গজে দাপট দেখানো পাঞ্জাব কিংসের আরেক ব্যাটার শশাঙ্ক সিংহ। নিজের শতরান নয়, দলকেই যে শ্রেয়স আগে রেখেছিলেন তার প্রমাণ দিলেন পাঞ্জাব অধিনায়ক।
গতকাল গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৪৩ রান বোর্ডে তুলে নিয়েছিল পাঞ্জাব। অধিনায়ক শ্রেয়সের ব্যাট থেকে এসেছিল ৪২ বলে অপরাজিত ৯৭ রান। আর শশাঙ্কের ব্যাট থেকে এসেছিল ১৬ বলে অপরাজিত ৪৪ রান। শেষ পাঁচ ওভারে একশোর কাছাকাছি রান তুলেছিলেন দুই ব্যাটার। এমনকী শশাঙ্ক যকন উনিশতম ওভারের শেষ বলে সিঙ্গলস নিলেন, তখন শ্রেয়স ৯৭ রানে ব্যাট করছিলেন। কুড়ি তম ওভারে প্রতিটা বলেই বাউন্ডারি হওয়ায় কোনওভাবেই শশাঙ্ক শ্রেয়সকে শতরান করার সুযোগ দিতে পারেননি। ম্য়াচের পর সেই বিষয়ই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিল শ্রেয়সকে। তিনি বলেন, ”আমি জানতাম গুজরাত টাইটান্স শিবিরের ব্য়াটিং লাইন আপ খুবই শক্তিশালী। তাই আমি চেয়েছিলাম বোর্ডে যত বেশি রান উঠুক ততই ভাল। আমার শতরানের থেকেও তা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমিই শশাঙ্ককে বলেছিলাম যে বড় শট খেলতে। আমার শতরান নিয়ে ভাবতে না। আমি পরের ম্য়াচে শতরান পূরণ করে নেব।”
দিল্লির তরুণ ক্রিকেটার প্রিয়াংশ আর্য তাঁর প্রথম আইপিএল ম্য়াচেই নজর কেড়েছেন। ওপেনে নেমে ২৩ বলে ৪৭ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেছেন তিনি। নিজের ইনিংসে সাতটি বাউন্ডারি ও দুটো ছক্কা হাঁকিয়েছেন প্রিয়াংশ। শ্রেয়সের কথায়, ”প্রিয়াংশের খেলা আমি গত বছর দেখেছিলাম। দারুণ লেগেছিল। ওকে বলছিলাম যে তাড়াহুড়ো করতে না। ধীরেধীরে ম্য়াচের পরিস্থিতিত বুঝে শট খেলতে।”
মঙ্গলবার পাঞ্জাবের পাহাড়প্রমাণ রান তাড়া করতে নেমে যদিও ২৩২/৫ বোর্ডে তুলে নিয়েছিল গুজরাত টাইটান্সও। সাই সুদর্শন ও জস বাটলার অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেছিুলেন। এছাড়া শেরফানে রাদারফোর্ড লোয়ার অর্ডারে নেমে ঝোড়ো ইনিংস খেলে কিছুটা ভরসা জুগিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১১ রানে ম্য়াচ জিতে যায় প্রীতি জিন্টার ফ্র্যাঞ্চাইজি।
আরও দেখুন