কলকাতা: গত বর্ডার গাওস্কর ট্রফিতে যখন তাঁকে ছাড়াই একের পর এক ম্য়াচ হারছে ভারতীয় ক্রিকেট দল, তখন বারবার তাঁর অভাব অনুভূত হচ্ছিল। ভারতীয় ক্রিকেট দলের গ্রহ থেকে এখন অনেক দূরে তিনি। বয়স ৩৬ পেরিয়েছে। এই বয়সে কেকেআর আবার তাঁকে অধিনায়ক হিসেবে বেছে নিয়েছিল। তাও আবার আইপিএলে ১০ দলের মধ্যে সবচেয়ে কম দর পাওয়া অধিনায়ক তিনি। অথচ দাম কম পেলেও তিনি যে কতটা উচ্চমানের ব্য়াটার তা এদিন বুঝিয়ে দিলেন অজিঙ্ক রাহানে। ক্যাপ্টেন্সির দায়িত্ব কাঁধে নিয়েই ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন। ৩১ বলে ৫৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেললেন। কুইন্টন ডি কক আউট হওয়ার পর ইডেনে প্রথম দশ ওভার পুরো মাতিয়ে রাখলেন কেকেআর অধিনায়ক।
মাত্র ৪ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারিয়েছিল কেকেআর। হ্যাজেলউডের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরেছিলেন কুইন্টন ডি কক। এরপরই নারাইনের সঙ্গে ক্রিজে এসে জুটি বাঁধেন রাহানে। শুরুতে নারাইন একটি ধীর গতিতে খেলছিলেন। কিন্তু উল্টোদিকে তখন হাত খোলেন রাহানে। শুরু করেন অনামী রাশিক সালামের ওভারে। এক ওভারে ১৬ রান বোর্ডে তোলেন নাইট অধিনায়ক। এরপর আর থেমে থাকেননি। একের পর এক দর্শনীয় শট খেলে গেলেন মাঠের চারধার জুড়ে। পাওয়ার প্লে-তে রাহানের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের সুবাদেই ১ উইকেট হারিয়ে ৬০ রান বোর্ডে তুলে নিয়েছিল নাইট রাইডার্স। রাহানেকে দেখে চাপমুক্ত হয়ে চালিয়ে খেলা শুরু করেন নারাইনও। দুজনেই প্রথম দশ ওভারের আগেই বোর্ডে ১০০ রান যোগ করে দেন।
শেষ পর্যন্ত রাহানে যখন ফিরছেন তখন তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৩১ বল ৫৬ রান। ৬টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কায় হাঁকানো ইনিংসটিই ভিত গড়ে দিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। প্রথম ম্য়াচে কেকেআর তাঁদের ব্যাটিং লাইন আপ সাজিয়েছে ওপেনিংয়ে কুইন্টন ডি ককের সঙ্গে সুনীল নারাইন। তিনে নামছেন অজিঙ্ক রাহানে। চারে বেঙ্কটেশ আইয়ার। দুটো দলই তিনটি ফাস্ট বোলার ও দুজন স্পিনারে তাঁদের আক্রমণভাগ সাজিয়েছে। কেকেআর যেমন বিরাট কোহলি, লিভিংস্টোন, সল্টদের আটকাতে সেই বরুণ চক্রবর্তী ও সুনীল নারাইনের ওপরই ভরসা রেখেছে। তেমনই আরসিবি শিবিরে বোলিং বিভাগকে নেতৃত্বে দেবেন অভিজ্ঞ জশ হ্যাজেলউড। নাইট শিবিরে পেস বিভাদে নতুন মুখ স্পেনশার জনস রয়েছেন। রয়েছেন হর্ষিত রানা ও বৈভব আরোরাও। মিডল অর্ডারে কেকেআরের ভরসা সেই রিঙ্কু সিংহ ও আন্দ্রে রাসেল।
আরও দেখুন