চেন্নাই: ২০১২ সাল থেকে আইপিএলে খেলছেন। কেকেআর সেবার দলে নিয়েছিল তাঁকে। আজ ১৩ বছর পরও কেকেআর দলেরই সদস্য তিনি। ঢুকেছিলেন গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বে। এরপর তিনবার আইপিএলে জিতে ফেলেছেন কেকেআরের জার্সিতে। গম্ভীরের নেতৃত্বে দুবার ও মেন্টরশিপে একবার। চলতি বছর অজিঙ্ক রাহানের নেতৃত্বে খেলছেন সুনীল নারাইন। কেকেআর শিবিরের মেন্টর হিসেবে রয়েছেন ডি জে ব্র্যাভো। এবার নিজের মেন্টর ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের পুরনো সতীর্থ ডি জে ব্র্যাভোকে টেক্কা দিলেন নারাইন।
আইপিএলের ইতিহাসে সর্বাধিক উইকেট শিকারির তালিকায় সবার ওপরে রয়েছেন যুজবেন্দ্র চাহাল। তিনিই একমাত্র দুশোর গণ্ডি ছাড়িয়েছেন। তালিকায় ব্র্যাভোকে টেক্কা দিলেন সুনীল নারাইন। এই মুহূর্তে নারাইনের ঝুলিতে রয়েছে ১৮৫ উইকেট। ব্র্যাভো তাঁর আইপিএল কেরিয়ারে নিয়েছিলেন ১৮৩ উইকেট। নিজের আইপিএল কেরিয়ারের বেশিরভাগ সময়টা ব্র্যাভো খেলেছেন চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে। তাছাড়াও তিনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও গুজরাত লায়ন্সের জার্সিতেও খেলেছেন। ১৫৮ ইনিংসে ১৮৩ উইকট নিয়েছিলেন ব্র্যাভো। সিএসকের বিরুদ্ধে নিজের ৪ ওভারের স্পেলে ১৩ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নিয়ে্ছিলেন। তার সঙ্গে সঙ্গেই ব্র্যাভোকে টেক্কা দিয়ে দেন নারাইন। তাঁর ঝুলিতে এই মুহূর্তে ১৮০ ইনিংসে ১৮৫ উইকেট। তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে পীযুশ চাওলা (১৯২ উইকেট) ও ভুবনেশ্বর কুমার (১৮৬ উইকেট)।
সিএসকে ম্য়াচ জয়ের পর সুনীল নারাইন ও বরুণ চক্রবর্তীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা গেল মঈন আলিকে। ম্য়াচের পর ইংল্যান্ড তারকা আরো বলেন, ”আমি মনে করি সুনীল নারাইন ও বরুণ চক্রবর্তী অসাধারণ। বিশেষ করে সুনীলের কথা আমাকে বলতেই হবে। ওঁদের খেলা মাঝের ওভারগুলোতে খুবই চাপের যে কোনও ব্যাটারের পক্ষে। আমার লক্ষ্যই থাকে যে শুরুতে কিছুটা চাপে ফেলে দেওয়া প্রতিপক্ষের টপ অর্ডারকে। এছাড়া ওঁদের থেকে প্রতিমুহূর্তে শেখার চেষ্টা করছি। পিচ যা ছিল, তাতে সব বল স্পিন না হলেও ব্যাটারের মনে সন্দেহ আসতই। আর তাতেই বোলারদের সুবিধে হয়েছে।” উল্লেখ্য, নারাইন বল হাতে ম্য়াজিক দেখানোর পর ব্যাট হাতেও ১৮ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন।
আরও পড়ুন: ২২ বছরের বর্ণময় কেরিয়ার, অ্য়ান্ডারসনের মুকুটে জুটছে নতুন পালক
আরও দেখুন