লখনউ: আইপিএলর নিলামের (IPL Auction) শুরুতে তাঁকে কোনও দলই কেনেনি। কিন্তু পরে লখনউ সুপারজায়ান্টস (Lucknow Supergiants) দল মহসিন খানের বদলি হিসেবে শার্দুল ঠাকুরকে (Shardul Thakur) দলে নিয়েছিল। আর লখনউ শিবিরে যোগ দেওয়ার পর থেকেই দুর্দান্ত পারফর্ম করে চলেছেন বল হাতে মুম্বইয়ের এই অভিজ্ঞ পেসার। গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে লখনউয়ের জয়ের পর এবার শার্দুলের নিশানায় ধারাভাষ্যকাররা।
শার্দুল ম্য়াচের শেষে বলেন, ”আমি সবসময় মনে করি যে আমাদের বোলিং বিভাগ অনেক উন্নত। এই মরশুমে ধারাবাহিকভাবে ভাল পারফর্ম করছে বোলিং বিভাগ। কিন্তু যাঁরা কমেন্ট্রি করেন, তাঁদের কাছে অনেক সময়ই বোলারদের অত্যন্ত বাজেভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। যেভাবে মন্তব্য করা হয়, তাতে একজন প্লেয়ারের মনোবলে আঘাত লাগে। মানুষকে বুঝতে হবে যে এই টি-টোয়েন্টি ফর্ম্য়াটের ম্য়াচে দুশোর বেশি রান হওয়া এখন স্বাভাবিক বিষয়।” কিন্তু হঠাৎ কেন এমন কথা বললেন? শার্দুল আরও বলছেন, ”সমালোচনা অবশ্যই প্রয়োজন। তা হয়েও থাকে। আর কমেন্ট্রি প্য়ানেল থেকে খুব বাজেভাবে মন্তব্য করা হয়। এসি স্টুডিওয় বসে একটা মন্তব্য করে দেওয়া খুবই সহজ কাজ কোনও বোলারের নামে। কিন্তু মাঠে নেমে একবার পরিস্থিতির সামনে পড়লে বিষয়টা অনুধাবন করা যায়।”
এবারের আইপিএলে এখনও পর্যন্ত শার্দুল ঠাকুর লখনউ সুপারজায়ান্টসের জার্সিতে ৬ ম্যাচে মোট ১১ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন। এই মুহূর্তে পার্পল ক্যাপের দৌড়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তারকা ডানহাতি পেসার। তাঁর আগে শুধু রয়েছেন সিএসকের নূর আহমেদ। তিনি ১২ উইকেট নিয়েছেন এখনও। গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে শার্দুল নিজের ৪ ওভারের স্পেলে ৩৪ রান খরচ করলেও ২ উইকেট নিয়ে নেন। ম্য়াচে গিল বাহিনীকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দেয় ঋষভ পন্থের দল।
এর আগে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন শার্দুল ঠাকুর। সেই ম্য়াচের পর শার্দুল বলেছিলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা ক্রিকেট মাঠে হয়। নিলামে আমার দিনটা খারাপ গিয়েছিল। কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজিই আমাকে নেওয়ার আগ্রহ দেখায়নি। বোলারদের চোট আঘাত থাকায় লখনউ সুপার জায়ান্টস আমাকে প্রস্তাব দেয়। তাই আইপিএল খেলা হয়ে গেল। জাহির খান আছে বলে আমাকে প্রস্তাব গ্রহণ করতেই হতো। ক্রিকেটে এরকম ওঠাপড়া থাকে।’
আরও পড়ুন: তাঁর কাছেই তালিম নিয়েছিলেন অভিষেক, কী বলছেন যুবরাজ? দরাজ সার্টিফিকেট সচিনেরও
আরও দেখুন