জয়পুর: ঘরের মাঠে হার রাজস্থান রয়্যালসের। কাজে এল না যশস্বী জয়সওয়ালের অর্ধশতরানের ইনিংস। পাল্টা ফিল সল্ট ও বিরাট কোহলির দুরন্ত ব্য়াটিংয়ে রান তাড়া করতে নেমে হেসেখেছে ৯ উইকেটে ম্য়াচ জিতে নিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান বোর্ডে তুলে নিয়েছিল রাজস্থান শিবির। জবাবে ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় আরসিবি।
১৭৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। সোয়াই মানসিং স্টেডিয়াম বরাবরই ব্যাটারদের স্বর্গরাজ্য। কিন্তু এদিন টস জিতে রজত পাতিদার যখন ফিল্ডিং নিলেন তখন মনে হয়েছিল যে বোলাররাও সুবিধে হয়ত পাবেন এই পিচ থেকে। কিন্তু দুটো ইনিংস দেখার পর সেই ধারণ কিন্তু বদলাতে বাধ্য। আরসিবির বোলাররা প্রতিপক্ষের ৪ উইকেট ফেলতে পারলেও রাজস্থান বোলাররা তো মাত্র ১ উইকেটই ফেলতে পারলেন। জয়সওয়ালের পাল্টা অর্ধশতরান হাঁকালেন ফিল সল্ট ও বিরাট কোহলি। দুজনের অর্ধশতরানের ইনিংসের ওপর ভর করেই মূলত জয় হাসিল করে নেয় আরসিবি।
জোফ্রা আর্চার, সন্দীপ শর্মা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা কোনও বোলারকেই রেয়াত করেননি দুই আরসিবি ওপেনার। ফিল সল্ট প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্য়াটিং শুরু করেন। ৩৩ বলে ৬৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন প্রাক্তন কেকেআর তারকা। ৫টি বাউন্ডারি ও ৬টি ছক্কা হাঁকান সল্ট। তিনি কুমার কার্তিকেয়র বলে প্যাভিলিয়ন ফিরলেও বিরাট কোহলিকে ফেরাতে পারেননি রাজস্থানের বোলাররা। শুরুতে একটু মন্থর গতিতে ব্যাটিং করলেও ধীরে ধীরে চালিয়ে খেলা শুরু করেন। ৩৯ বলে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন কোহলি। শেষ পর্যন্ত ৪৫ বলে ৬২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন কিং কোহলি। ৪টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান তিনি। ২৮ বলে ৪০ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন দেবদত্ত। পাঁচটি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান দেবদত্ত।
এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আরসিবি অধিনায়ক রজত পাতিদার। রাজস্থানের জার্সিতে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন স্যামসন ও যশস্বী। স্যামসন কিছুটা ধীর গতিতে খেলা শুরু করলেও যশস্বী প্রথম থেকেই চালিয়ে খেলা শুরু করে দেন। তিনি নাকি ক্রিকেটে আর মন দেন না, এমনই গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার বসিত আলি। নিশ্চয় সেই কথা কানে গিয়েছিল যশস্বীর। তাই হয়ত একটু বেশিই মারমুখি ছিলেন। ৩৫ বলে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেছিলেন যশস্বী। অর্ধশতরান হাঁকানোর পথেই সাতটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ফেলেছিলেন বাঁহাতি তরুণ ওপেনার। শেষ পর্যন্ত যখন তিনি ফিরলেন তখন নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৪৭ বলে ৭৫ রান। ১০টি বাউন্ডারি ও দুটো ছক্কা হাঁকিয়ে ফেলেন তিনি। স্যামসন ১৫ রান করে ক্রুণাল পাণ্ড্যর বলে লেগবিফোর হয়ে যান। মিডল অর্ডারে রাজস্থানের ২ সৈনিক রিয়ান পরাগ ও ধ্রুব জুড়েল মিলে দলের হাল ধরেন। রিয়ান ২২ বলে ৩০ রান করেন ও ধ্রুব শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে যান ২৩ বলে ৩৫ রান করে।
আরও পড়ুন: সল্ট, বিরাটের অর্ধশতরান, ১৫ বল বাকি থাকতেই রাজস্থান বধ আরসিবির
আরও দেখুন