<p><strong>আমদাবাদ:</strong> নিজের ৩০ বলে অপরাজিত ৬১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। জস হ্যাজেলউডের শেষ ওভারে ২২ রানও তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু তবুও পারেননি দলকে জেতাতে। পারেননি পঞ্জাব কিংসকে প্রথমবারের জন্য <a title="আইপিএল" href="https://bengali.abplive.com/topic/ipl" data-type="interlinkingkeywords">আইপিএল</a> চ্যাম্পিয়ন করতে। ১১ বছর পর টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেও রানার্স আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে পঞ্জাব শিবিরকে। নিজে গোটা টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফর্ম করলেও খেতাব হাতছাড়া হওয়ার আক্ষেপ এখনও ভুলতে পারছেন না শশাঙ্ক সিংহ। বিশেষ করে শেষ ওভারে হ্যাজেলউডের ফুলটস বলটি মিস করেছিলেন তিনি। যাতে ছক্কা হাঁকিয়ে দিলেই খেলার ফল অন্য হয়ে যেত। </p>
<p>ফাইনালের এতদিন পরে এক সাক্ষাৎকারে শশাঙ্ক বলছেন, ”আমি আসলে মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম যে হ্যাজেলউড হয়ত প্রথম বলটি ইয়র্কার করবে। আমি সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে স্টান্স নিয়েছিলাম। কিন্তু আমি ফুলটস একেবারেই আশা রাখিনি। এখন আমার মনে হচ্ছে যে যদি আমি ওই বলটি মেরে দিতে পারতাম। বা আমার ব্যাটের হ্যান্ডেলেও যদি বল লাগত। তাহলেও হয়ত ছয় বেরিয়ে যেত। কারণ ফাইন লেগের ফিল্ডার অনেক সামনে ছিল। এরপর আমি একটি ওয়াইড বল আশা করেছিলাম। কিন্তু তা হয়নি। যখন স্কোরবোর্ডে দেখলাম যে ১ বলে ১২ রান প্রয়োজন, তখন তো বুঝেই গিয়েছিলাম যে আর কিছু বাকি নেই।”</p>
<p>রান তাড়া করতে নেমেছিল পঞ্জাব ফাইনালে। শেষ ওভারে ২৯ রান প্রয়োজন ছিল। শশাঙ্ক তিনটি ছক্কা ও একটি বাউন্ডারি হাঁকান। নিজের দুর্ধর্ষ ব্যাটিং করলেও মাঠ ছাড়েন কাঁদতে কাঁদতে। ডানহাতি এই ব্য়াটার বলছেন, ”আমি নিশ্চিতভাবেই শক্ত মানসিকতার মানুষ। কিন্তু আমি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারিনি, যখন আমি পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকানোর পর দেখলাম যে আর মাত্র ১ বলে ১২ রান প্রয়োজন ছিল। আমি ড্রেসিংরুমে ঢোকার পর সবাই আমাকে জড়িয়ে ধরে প্রশ্ন করছিল যে কেন আমি কাঁদছি। কিন্তু আমি নিজেও জানতাম না তার কারণ।” এরপরই শশাঙ্ক আরও বলেন, ”সবাই আমার ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করেছেন। কিন্তু এটাও ঠিক যে সবাই মনে রাখবেন যে আমি ফুলটস বল মিস করেছি। আমার ভীষণ খারাপ লেগেছিল। বলটি লেগ সাইডে ছিল, আমাকে শুধু ব্য়াটের সঙ্গে কানেক্ট করতে হত, যা আমি পারিনি। এয়ারপোর্ট থেকে বাস, মাঠ সবাই আফশোস করছেন আমার ওই বলটি মিস হওয়া নিয়ে।”</p>
Source link
”ওই একটি ফুলটস মিস করাটাই সবাই মনে রাখবে..”, এখনও হতাশায় ডুবে শশাঙ্ক সিংহ
