বিশাখাপত্তনম: দুটো দলই একেবারে খোলনলচে বদলে ফেলেছে। একাধিক নতুন মুখ। দু দলের অধিনায়কও নতুন। দিল্লি ক্যাপিটালস (Delhi Capitals) তাঁদের দ্বিতীয় হোমগ্রাউন্ড বিশাখাপত্তনমের মাঠে নেমেছিল লখনউ সুপারজায়ান্টসের বিরুদ্ধে। ম্য়াচে টস জিতেছিলেন দিল্লির হয়ে এই মরশুমে নেতৃত্বভার সামলানো অক্ষর পটেল। প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধন্ত নিয়েছিলেন তিনি। স্টার্ক, কুলদীপ, মুকেশ সমৃদ্ধ বোলিং লাইন আপ। তবে লখনউ এদিন ঋষভ পন্থের নেতৃত্বে নেমেছিল। আর প্রথমে ব্য়াটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে তুলে নিল লখনউ। ঝোড়ো অর্ধশতরান হাঁকালেন নিকোলাস পুরাণ। লোয়ার অর্ডারে ক্যামিও ইনিংস খেললেন ডেভিড মিলার। তবে লখনউ জার্সিতে প্রথম ম্য়াচে খাতাই খুলতে পারলেন না ঋষভ পন্থ।
লখনউয়ের জার্সিতে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন মিচেল মার্শ ও এইডেন মারক্রাম। ২ বিদেশিকেই এবার নিলাম থেকে দলে নিয়েছিল লখনউ। দুজনেই শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং শুরু করেছিলেন এদিন। মারক্রাম ১৩ বলে ১৫ রান করে ফিরলেও মার্শ ছিলেন বিধ্বংসী মেজাজে। সঙ্গে দোসর হন নিকোলাস পুরাণ। ৪.৪ ওভারে দলের স্কোর যখন ৪৫ তখন মারক্রাম প্যাভিলিয়ন ফিরেছিলেন। এরপর পুরাণ ও মার্শ মিলে ঝড়ের গতিতে রান বোর্ডে তুলতে থাকেন। অজি অলরাউন্ডারকে ফেরান মুকেশ কুমার। তবে ততক্ষণে তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৩৬ বলে ৭২ রান। ৬টি বাউন্ডারি ও ৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। পন্থ ক্রিজে আসলেন। ২৭ কোটি টাকা খরচ করে তাঁকে দলে নিয়েছে এবার লখনউ। কেকেআরের ২৩.৭৫ কোটির বেঙ্কটেশের ব্যাট থেকে এসেছিল মাত্র ৬ রান আরসিবি ম্য়াচে। এদিন পন্থের ব্যাট থেকে কোনও রানই এল না। মিলার এসে অবশ্য় পুরাণকে ভাল সঙ্গ দিলেন। পুরাণ ৩০ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন। নিজের ইনিংসে ৬টি বাউন্ডারি ও ৭টি ছক্কা হাঁকান বাঁহাতি ক্যারিবিয়ান তারকা। নীচের দিকে সেভাবে কেউ রান পাননি।
এদিন স্টার্ক প্রথম ২ ওভারে বেশ ভালই রান হজম করেন। পরে ডেথ ওভারে অবশ্য় দুর্দান্ত স্পেল করেন। তাঁর নিঁখুত ইয়র্কারে নাস্তানাবুদ হতে হয় পুরাণ, বিষ্ণোই, শাহবাজদের। প্রথম দুজন তো বোল্ড হয়ে যান। শাহবাজ ক্যাচ আউট হন। এছাড়া কুলদীপ যাদব ২ উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: বাবা হলেন কে এল রাহুল, আথিয়ার কোল আলো করে এল ফুটফুটে কন্য়া সন্তান
আরও দেখুন