মুম্বই: আর কিছুদিন পরেই বয়স ৩৫ ছুঁয়ে ফেলবে। কিন্তু এই বয়সেই যেন নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারের মধ্যগগণে রয়েছেন বরুণ চক্রবর্তী। কেকেআরের জার্সিতে আইপিএলের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে সীমিত ওভারের ফর্ম্য়াটে জাতীয় দলেরও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠেছেন তামিলনাড়ুর এই স্পিনার। আগেরবার আইপিএল জয়ী কেকেআর দলের বোলিং বিভাগের সাফল্যের অন্যতম কাণ্ডারী ছিলেন। এবার নতুন মরশুম। প্রথম ম্য়াচ খুব একটা ভাল না গেলেও দ্বিতীয় ম্য়াচেই ফের নিজের ভেল্কি দেখিয়েছেন রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে।
কেকেআরের তারকা স্পিনার বলছেন, ”প্রতিটা টুর্নামেন্টে একেবারে শূন্য থেকে শুরু করতে হয়। হতেই পারে আগের দুটো টুর্নামেন্ট দুর্দান্ত কাটল। কিন্তু নতুন মরশুমে নতুন টুর্নামেন্টে লড়াইটা নতুন করে হয়। আমি এতদিনে যা শিখেছি তা হল খুব বেশি বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করি না বোলিংয়ে। বেশি ম্য়াজিক বল করার চেষ্টা করি না। নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে আমি অবগত। সেটাই করে যাওয়ার চেষ্টা করি নিঁখুতভাবে।”
নতুন মরশুমে কোন উইকেটগুলো নিজের নামের পাশে তুলতে চাইছেন? বরুণ বলছেন, ”অবশ্যই ফর্মে থাকা ব্যাটারদের উইকেটগুলো তুলে নিতেই ভাল লাগে। হেনরিক ক্লাসেন, নিকোলাস পুরান, বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা ও সূর্যকুমার যাদব এই প্লেয়ারদের উইকেট তুলতে চাইব। আমি খুব খুব খুশি হব এঁদের উইকেট তুলতে পারলে।”
নারাইনের সঙ্গে নিজের বন্ডিং নিয়েও মুখ খুললেন বরুণ। তিনি বলেন, ”এই নিয়ে পঞ্চম মরশুম আমরা একসঙ্গে খেলতে চলেছি। এটা আমার ষষ্ঠ মরশুম। আমি বেশি কিছু কথা নারাইনের সঙ্গে বলি না। কিন্তু ওঁকে দেখি, শেখার চেষ্টা করি। যদি কখনও কোনও মুহূর্তে নিজের মধ্যে সন্দেহ হয়, ওঁর পরামর্শ নেওয়ার চেষ্টা করি। নারাইন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার। এই বছরও মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার হিসেবেই খেলবে নারাইন।”
এদিকে মু্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মাত্র ১১৬ রানেই অল আউট হয়ে গেল কেকেআর। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করতে নেমেছিল মুম্বই। ওপেনে নারাইন ও ডি কক নেমেছিলেন কেকেআরের জার্সিতে। কিন্তু প্রথম ওভারেই নারাইনকে বোল্ড করে দেন ট্রেন্ট বোল্ট। এরপরের ওভারে ডি ককও ফিরে যান দীপক চাহারের বলে ক্যাচ আউট হয়ে। রাহানে, অঙ্গকৃশ কিছুক্ষণ চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু রান তুলতে পারছিলেন না। ম্য়াচে অভিষেক ঘটানো অশ্বিনি কুমার একাই ৪ উিকেট নিয়ে নেন।
আরও দেখুন