লখনউ: কবে তাঁর ব্যাটে ঝড় উঠবে। ৪৪ ছুঁইছুঁই ধোনির ব্যাট চার-ছক্কার দেখার আশাতেই তো মাঠ ভরান হাজার হাজার দর্শক। আইপিএলে হলুদ জার্সিতে সাত নম্বর জার্সিধারী ৫ ফুট ১০ ইঞ্চির মানুষটা মাঠে নামবেই গোটা মাঠ ধোনি ধোনি চিৎকারে ফেটে পড়ে। আগের ৬ ম্য়াচে সেভাবে লখনউয়ে ধোনি ধামাকা, যোগ্য সঙ্গ দুবের, ৫ উইকেটে ম্য়াচ জিতল চেন্নাই। তবে ম্যাচ জিতলেও পয়েন্ট টেবিলে তলানিতেই থাকল সিএসকে।
১৬৭ রান তাড়া করতে নেমেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। এদিন ডেভন কনওয়ের বদলে ওপেনে নেমেছিলেন শায়িক রাশিদ। তাঁর সঙ্গে ওপেনে নেমেছিলেন রাচিন রবীন্দ্র। তরুণ রাশিদ নিজের প্রথম আইপিএলে ম্য়াচে নজর কাড়লেন। বড় রান করতে না পারলেও ১৯ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেললেন রাশিদ। ৬টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন তিনি। রাচিন রবীন্দ্রও ২২ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেললেন। পাঁছটি বাউন্ডারি হাঁকালেন বাঁহাতি কিউয়ি তারকা। রাহুল ত্রিপাঠি আরও একবার ব্যর্থ হলেন। তিনি ৯ রান করে ফিরে গেলেন। জাডেজা ফিরলেন ৭ রান করে। বিজয় শঙ্করও ৯ রান করে ফেরেন। তবে সিএসকের এদিনের জয়ের অন্য়তম নায়ক শিবম দুবে ও মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। দুবে শুরুতে খেলাটা ধরেছিলেন। উল্টোদিকে উইকেট পড়লেও ক্রিজে থিতু হওয়ার চেষ্টা করছিলেন দুবে। ধোনি আসার পর চালিয়ে খেলা শুরু করেন। আগের ম্য়াচগুলোতে অনেক নীচে নেমেও দলের তরী পার করাতে পারছিলেন না। এদিনও আট নম্বরে নামলেন। তবে এদিন ধোনির ব্যাটে দেখা গেল পুরনো সেই ছন্দ। দুবের সঙ্গে ৫৭ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তুললেন প্রাক্তন বিশ্বজয়ী অধিনায়ক। এদিন চেন্নাইয়ের জয়ের পথে ধোনির ব্য়াট থেকে এল ১১ বলে ২৬ রান। ৪টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি। দুবে অন্যদিকে ৩টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কার সাহায্যে ৩৭ বলে ৪৩ রান করে ফেরেন। ১৯.৩ ওভারেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় সিএসকে।
লখনউয়ের হয়ে এদিন ওপেনিংয়ে ফিরেছিলেন মিচেল মার্শ। এইডেন মারক্রামের সঙ্গে ঘরের মাঠে আরও একটা বিধ্বংসী ইনিংস খেলার লক্ষ্যেই মাঠে নেমেছিলেন। কিন্তু এদিন ধোনি ভালই পিচ রিড করেছিলেন। লখনউয়ের ব্যাটাররা শুরু থেকেই কিছুটা স্লথ গতিতে ব্যাটিং করছিলেন এদিন। মারক্রাম প্রথম ওভারেই ৬ রান করে খলিল আহমেদের বলে আউট হয়ে ফেরেন। মার্শ ক্রিজে থেকে মারার চেষ্টা করলেও হাত খুলতে পারছিলেন না সিএসকের আঁটোসাঁটো বোলিংয়ের জন্য। শেষ পর্যন্ত ২৫ বলে ৩০ রান করে ফেরেন অজি তারকা। এবারের আইপিএলে সর্বাধিক রান সংগ্রাহক নিকোলাস পুরাণ ৯ বলে ৮ রান করে আউট হন এদিন। তবে এদিন রান পেলেন টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত অফফর্মে থাকা লখনউ অধিনায়ক পন্থ। এদিন উল্টোদিকে কেউ বড় ইনিংস না খেলতে পারলেও পন্থ প্রায় শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন। ৪৯ বলে ৬৩ রানের ইনিংসে চারটি বাউন্ডারি ও চারটি ছক্কা হাঁকান। ১৭ বলে ২২ রান করেন আয়ুশ বাদোনি। লোয়ার অর্ডারে ১১ বলে ২০ রানের ইনিংস খেলেন আব্দুল সামাদ।
আরও দেখুন