কলকাতা: তিনি কবে রানে ফিরবেন? তিনি কবে বিধ্বংসী ইনিংস খেলবন? তিনি কি আদৌ ফিট নন? ব্যাট চালাতে কি ভুলেই গিয়েছেন? এমন হাজারো প্রশ্ন আন্দ্রে রাসেলকে নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহে বারবার উঠছিল। কেকেআরের জার্সিতে গত এক যুগ ধরে খেলছেন। অজস্র স্মরণীয় ম্য়াচ জিতিয়েছেন। কিন্তু ৩৬ পেরনো রাসেলের এবারের ফর্ম একেবারেই তাঁর নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছিল না। রান পাচ্ছিলেন না একের পর এক ম্য়াচ। এমনকী ফুলটস বলেও উইকেট খুইয়েছেন। তবে তিনি ফিরলেন। আর রাজার মতই ফিরলেন। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ম্য়াচে রাসেলের বিধ্বংসী ২৫ বলে ৫৭ রানের সুবাদেই কেকেআর দুশোর গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছিল প্রথমে। ম্য়াচ শেষে রাসেল হাসিমুখে জানিয়ে দিলন যে রান যে তাঁর ব্যাটে আসবেই দ্রুত, এই বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন ক্যারিবিয়ান তারকা।
রাজস্থানের বিরুদ্ধে ডেথ ওভারে ১২ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন রাসেল। প্রথম ৯ বলে মাত্র ২ রান করেছিলেন। এরপরই হাত খোলেন শেষের দিকে। রাসেল বলছিলেন, ”গত কয়েকটি ম্য়াচে একেবারেই রান পাইনি। কিন্তু আমি প্র্যাক্টিসে কিন্তু ভালই শট মারছিলাম প্রতিদিন। আমি জানতাম যে বড় শট আসতে চলেছে দ্রুত আমার ব্যাট থেকে। নিজের টেকনিক নিয়ে কোনওদিনই চিন্তা করিনি বেশি। ভাল লাগছে যে বেশ কয়েকটি শট গ্যালারিতে ফেলতে পেরেছি। দর্শকদের চিৎকার, সমর্থন এগুলোই তো প্রাপ্তি। শেষ পর্যন্ত ম্য়াচ জিততে পেরেছি, এটাই আমাদের জন্য ভাল।”
বল হাতে এবারের আইপিএলে প্রত্যেক ম্য়াচে নিজের কোটার চার ওভার করানো হচ্ছে না রাসেলকে দিয়ে। রাহানে ম্য়াচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কখনও কখনও একটি বা দুটো ওভার তাঁর হাতে তুলে দিচ্ছেন। রাজস্থান ম্য়াচে উইকেট না পেলেও এক ওভারে মাত্র ১১ রানই দিয়েছেন। রাসেল বলছেন, ”আমি যখন দেখি আমাদের বোলিং অ্য়াটাক ভাল পারফর্ম করছে। কীভাবে খেলছে তা বোঝার চেষ্টা করি। দলের প্রয়োজন মত বল করার সুযোগ পেলে ইয়র্কার দেওয়ার চেষ্টা করি। কিছু স্লোয়ার দেওয়ার চেষ্টা করি।”
রাসেল আরও বলেন, ”যদি আমাকে ১২ বল সুযোগ দেওয়া হয়, তবে আমি চেষ্টা করি তার মধ্য়ে আটটি বা নয়টি বল নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলার। হতে পারে ১২ বলই সঠিক জায়গায় করার চেষ্টা করি। কিন্তু আমরাও রক্ত মাংসের মানুষ। আমাদেরও ভুলভ্রান্তি হয়। আমি ব্যাটে রান পেলে বল হাতেও আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যায়। আবার উল্টোটাও হয়।”
আরও দেখুন