বেঙ্গালুরু: ঘরের মাঠে হার আরসিবির। কে এল রাহুলের দুরন্ত ব্যাটিংয়ের সুবাদে জয়ের অশ্বমেধের ঘোড়া আরও একধাপ ছুটিয়ে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস। এখনও পর্যন্ত একমাত্র টুর্নামেন্টের অপরাজিত দল আরসিবিকেও হারিয়ে দিল ৬ উইকেটে। ম্য়াচে ১৬৪ রান তাড়া করতে নেমেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। কে এল রাহুল ও ত্রিস্টান স্টাবসের পার্টনারশিপেই জয়ের ভিত গড়ে নেয় দিল্লি।
প্রথমে দিল্লির বোলিং লাইন আপের ২ জন কুলদীপ যাদব ও বিপরাজ নিগম মিলে আরসিবির মিডল অর্ডারকে ভাঙন ধরিয়েছিলেন। বিরাট কোহলি, রজত পাতিদার, দেবদত্ত পড়িক্কল কেউই রান পাননি। শুরুতে সল্টের ১৭ বলে ৩৭ রান ও শেষের দিকে টিম ডেভিডের ২০ বলে ১৭ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান বোর্ডে তুলে নিয়েছিল আরসিবি। বিরাট কোহলি ২২ রান করেন এদিন। বিপরাজের শিকার হয়ে যান তিনি। রান তাড়া করতে নেমে অবশ্য খুব একটা স্বস্তিতে ছিল না দিল্লি ক্যাপিটালসও। ২ ওপেনারকেই দ্রুত ফিরিয়ে দেন আরসিবির ২ বেলাার যশ দয়াল ও ভুবনেশ্বর কুমার। ২ রান করে ফেরেন ফাফ ও ৭ রান করে ফেরেন ম্য়াকগুর্ক। ভুবনেশ্বর এরপর ৭ রানের মাথায় ফিরিয়ে দেন অভিষেক পোড়েলকেও। দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পর অক্ষর পটেল এসে কে এল রাহুলকে সঙ্গ দিয়েছিলেন। তবে ১৫ রান করে তিনিও ফিরে যান। এরপর ত্রিস্টান স্টাবস ও রাহুল শেষ পর্যন্ত ক্রিজে টিকে থেকে দিল্লির তরী পার করিয়ে দেন। নিজের ইনিংসে সাতটি বাউন্ডারি ও ৬টি ছক্কা হাঁকান রাহুল। স্টাবস ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৪টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান।
চিন্নাস্বামীর পিচ বেশিরভাগ ব্যাটারদের পক্ষেই কথা বলে। কিন্তু টস জিতে সঙ্গে সঙ্গে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দিল্ি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক অক্ষর পটেল। তিনিও বলেওছিলেন যে স্পিনাররা এই পিচ থেকে শুরুতে একটু সুবিধে পেতে পারেন। ঠিক সেটাই হল। শুরুতে স্টার্ককে ৩ ওভারের স্পেলে ৩৫ রান খরচ করতে হলেও ধীরে ধীরে খেলায় ছন্দ ফিরে পেল দিল্লি ক্যাপিটালস। বিপরাজ ফিরিয়ে দিলেন সেট হয়ে যাওয়া কোহলিকে। ১৪ বলে ২২ রান করে ফিরলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। এরপর একে একে একে আয়ারাম ও গয়ারাম। রজত পাতিদার ২৩ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেললেন। লোয়ার অর্ডারে ক্রুণাল পাণ্ড্য় ১৮ বলে ১৮ রানের ইনিংস খেললেন। কুলদীপ ও বিপরাজই মূলত তাঁদের আট ওভারে একেবারে চেপে ধরেছিলেন আরসিবির ব্যাটিং অর্ডারকে। দেড়শো রানের ইনিংস আদৌ উঠবে কি না তা নিয়েই একটা সময় সন্দেহ দেখা দিয়েছিল। কিন্তু ক্যামিও ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত দলের স্কোর ১৬৩ তে পৌঁছে দেন টিম ডেভিড। দুটো বাউন্ডারি ও চারটে ছক্কার সাহায্যে ২০ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ডেভিড।
আরও দেখুন