মুম্বই: ঝোড়ো অর্ধশতরান, বৃষ্টি থামিয়ে ওয়াংখেড়েতে রাতে ‘সূর্যোদয়’। হ্যাঁ, একেবারেই তাই। এই ম্য়াচটাই আদৌ হবে কি না তা নিয়েই তো সংশয় ছিল। গত দুদিন ধরে বৃষ্টি টানা। খেলার আগেও বৃষ্টির আশঙ্কা করেছিলেন সবাই। কিন্তু সময়মতই টস হল। দিল্লি টস জিতে ফিল্ডিং নিল। আর এরপর পুরোটাই সূর্যকুমার যাদবের ব্যাটে ঝড়। সঙ্গে যোগ্য সঙ্গ দিলেন কখনও তিলক তো কখনও নমন ধীর। তবে অপরাজিত অর্ধশতরানে খেলার প্রথম ইনিংস মাতিয়ে রাখলেন ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক। ৪৩ বলে অপরাজিত ৭৩ রানের ইনিংসে ৭টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা হাঁকালেন। মুম্বই দিল্লির বিরুদ্ধে বোর্ডে তুলল ২০ ওভার শেষে ১৮০ রান পাঁচ উইকেট হারিয়ে।
জ্বরের জন্য খেলেননি অক্ষর পটেল। তাঁর পরিবর্তে এদিন দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন ফাফ ডু প্লেসি। বৃষ্টির আশঙ্কা থাকায় টস জেতার সঙ্গে সঙ্গে ফিল্ডিং নিতে ভুল করেননি প্রোটিয়া তারকা। বল হাতে অধিনায়কের আস্থাও রেখেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমন। স্টার্ক না ফেরায় বাংলাদেশি পেসারকে দলে নেওয়া হয়েছিল। দুটো ম্য়াচ খেলে ফেললেন। বেশ প্রভাবও ফেললেন। তার উদাহরণ প্রথম আঘাত হানলেন রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে। অভিষেক পোড়েলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন হিটম্যান। রান পেলেন না এদিন। এরপর উইল জ্য়াকস এসে ১৩ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলেন। তিনটি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্য়ে। রিয়ান রিকেলটন ফিরে যান কুলদীপের বলে ক্যাচ দিয়ে ১৮ বলে ২৫রান করে। ৭ ওভারের মধ্য়ে মাত্র ৫৮ রান বোর্ডে তুলতেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল মুম্বই শিবির। সেখান থেকে খেলার হাল ধরেন সূর্যকুমার ও তিলক বর্মা। দ্বিতীয়জন এদিন স্ট্রাইক রোটেট করার দায়িত্ব তুলে নিয়েছিলেন। আর উল্টোদিকে দিল্লি বোলারদের ক্লাস নেওয়ার কাজ শুরু করেন সূর্যকুমার। একটা সময় মনে হচ্ছিল কোনওমত বোধহয় দেড়শোর গণ্ডি পেরতে পারবে মুম্বই। কিন্তু সূর্যকুমার যেন অন্য় কিছু ভাবছিলেন। ৩৬ বলে অর্ধশতরান পূরণ করার পর আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলেন তিনি। তিলক ফিরলেও সূর্যকে একা চাপ নিতে হয়নি। নমন ধীর এসে তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন। ২ টো বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কার সাহায্য়ে ৮ বলে ২৪ রান করে অপরাজিত থাকেন নমন। দুজনে মিলে শেষ ৫ ওভারে চালিয়ে খেলে দলকে ১৮০-তে পৌঁছে দেন।
আরও পড়ুন: টস জিতে প্রথম ফিল্ডিং নিল দিল্লি, গুরুত্বপূর্ণ মুম্বই ম্য়াচে নেই অসুস্থ অক্ষর
আরও দেখুন