নয়াদিল্লি: বাংলাদেশে (Bangladesh Violence) শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ওপার বাংলার বিভিন্ন জায়গায় আক্রান্ত হচ্ছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষরা। বিশেষ করে চট্টগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর অত্যাচারের মাত্রা এতটাই বেড়ে গেছে যে সেখানে একজোট হয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাতে দেখা গেছে প্রচুর হিন্দুকে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের কেয়ারটেকার সরকারকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে নয়াদিল্লির তরফে। অবিলম্বে এই ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঢাকা সরকারকে আর্জি জানিয়েছে ভারত (India)। পরিস্থিতি যাতে নাগালের বাইরে চলে না যায় তার জন্যও আবেদন জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি চট্টগ্রামে হিন্দুদের ওপর বাংলাদেশ পুলিশ ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিলিতভাবে হামলার অভিযোগ উঠেছে। যে ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়াতে। তারপরই এই বিষয় নিয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়েছে নয়াদিল্লি। চট্টগ্রাম সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে হিন্দুদের ওপর সংগঠিতভাবে হামলার ঘটনা ঘটছে তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে ভারত সরকার। পাশাপাশি বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দুদের নিরাপত্তার বিষয়টিকেও সুনিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
এপ্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জওসওয়াল চট্টগ্রামের হিন্দুদের ওপর বাংলাদেশ পুলিশ ও সেদেশের সেনাবাহিনীর নৃংশস হামলার তীব্র নিন্দা করেন। জানান, সোশ্যাল মিডিয়াতে উসকানিমূলক পোস্টের কারণেই এই অশান্তি তৈরি হয়েছে। যা আটকানোর পরিবর্তে তাতে আরও বেশি করে ইন্ধন দিয়েছে বাংলাদেশের প্রশাসন ও সেনাবাহিনী। অবিলম্বে এই ধরনের ঘটনা বন্ধ করার পাশাপাশি এই হামলায় জড়িত মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কেয়ারটেকার সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ারও আর্জি জানিয়েছেন ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র।
ইসকনের সমালোচনা করে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের জেরে গণ্ডগোলের সূচনা হয় বাংলাদেশের বন্দর শহর চট্টগ্রামে। যার প্রতিবাদ করায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে। এমনকী এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ পুলিশ ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে আক্রমণ করার অভিযোগ ওঠে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের ওপর।
এপ্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জওসওয়াল বলেন, “আমরা লক্ষ্য করেছি যে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। তাঁদের সম্পত্তি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে লুটতরাজও চালানো হয়েছে। এই ঘটনা ঘটেছে সোশ্যাল মিডিয়াতে হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক পোস্টের বিরুদ্ধাচারণ করার জন্য।
গণ্ডগোলের সূত্রপাতের বিষয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন নেতা বলেন, “চট্টগ্রামে ওসমান নামে যুবক ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে সোশ্য়াল মিডিয়াতে একটি পোস্ট করেছিল। এই ঘটনার জেরে উত্তেজনা তৈরি হলে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। অভিযোগ তারা ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর কেউ একজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর অ্যাসিড ছুঁড়ে মারে। তাতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।”
বাংলাদেশের এই ঘটনা নিয়ে টুইট করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি। সারা বিশ্বের কাছে আর্জি জানিয়েছেন বাংলাদেশের হিন্দুদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।
International Society for Krishna Consciousness or ISKCON; a Hindu Vaishnavite order is under ‘concerted’ attack in Bangladesh.
ISKCON is an internationally reputable religious organisation with presence in over 76 countries, spearhead the Hare Krishna Movement & following the… pic.twitter.com/UcdfVezvi9
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) November 8, 2024
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Jammu Kashmir Assembly: জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় আজও তুলকালাম ! ৩৭০ ধারা পুনর্বহালের প্রস্তাব ঘিরে বিধায়কদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি.
আরও দেখুন