Operation Sinddor: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Terror Attack) জবাব ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে দেওয়া শুরু করেছে ভারত। বুধবার মাঝরাত থেকে ভারতীয় সেনা পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত করা শুরু করেছে। চলছে সামরিক অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)। ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘন না করেই নিখুঁত লক্ষ্যে ৯ জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়েছে ভারতীয় সেনা। ভারতের হয়ে অপারেশেনের নেতৃত্ব দিয়েছে রাফাল জেট (India’s Rafale)। চর্চায় রয়েছে রাফাল থেকে নিক্ষেপ করা স্ক্যাল্প মিসাইল এবং হ্য়ামার বোমার নিখুঁত নিশানা। পাকিস্তানও পাল্টা দিতে প্রস্তুত। পাকিস্তান গর্ব করে তাদের এফ-সিক্সটিন নিয়ে। এখন প্রশ্ন এগিয়ে কোন দেশের যুদ্ধবিমান? বিশদে জেনে নিন এই প্রতিবেদনে (India’s Rafale vs Pak’s F-16 Explained)।
আরও পড়ুন: লাদেন থেকে কাসভ, আল-কায়েদা বা লশকর…ভারতীয় সেনা গুঁড়িয়েছে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর!
প্রথমেই বেসিকস
ভারতের রাফায়েল জেটগুলি, ফ্রান্সের সামরিক ও বাণিজ্যিক জেট প্রস্তুতকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা দাসো এভিয়েশন তৈরি করেছে। পাকিস্তানের এফ-১৬, যা ফাইটিং ফ্যালকন নামেও পরিচিত। আমেরিকান পাবলিকলি ট্রেডেড অ্যারোস্পেস এবং ডিফেন্স কর্পোরেশন জেনারেল ডায়নামিক্স (জিডি) যা তৈরি করেছে।
রাফাল জেটগুলি ৪.৫ জেনারেশনের মেশিন, ওদিকে এফ-১৬ চতুর্থ জেনারেশনের। রাফাল দুটি ইঞ্জিন দ্বারা চালিত, অন্যদিকে এফ-১৬ একক ইঞ্জিনযুক্ত। দুই জেটই মাল্টি-রোল কমব্যাট যুদ্ধ বিমান।
স্টিলথ প্রযুক্তি
রাফালে জেটগুলি উন্নততর কারণ এর সেমি-স্টিলথ এয়ারফ্রেম এবং এর উন্নত AESA রাডার (RBE2-AA) এর কারণে এগুলির রাডার পর্যবেক্ষণযোগ্যতা কম। স্টিলথ প্রযুক্তিতে তৈরি জেট কি? বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার করে এই যুদ্ধবিমানগুলিকে সনাক্তকরণ এড়াতে ডিজাইন করা হয়। যা রাডার, ইনফ্রারেড, দৃশ্যমান আলো, রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি বর্ণালী এবং অডিওর প্রতিফলন/নির্গমন হ্রাস করে। সম্মিলিতভাবে স্টিলথ প্রযুক্তি নামে পরিচিত। এফ-১৬ স্টিলথ প্রযুক্তিতে তৈরি নয়, এখানেই রাফালের কাছে গোল খেয়েছে এফ-সিক্সটিন
ইলেকট্রনিক যুদ্ধ:
রাফালের SPECTRA EW স্যুট বিশ্বের সেরাগুলির মধ্যে একটি। যা সক্রিয় জ্যামিং, হুমকি চিহ্ণিতকরণ, শত্রু রাডারের ফাঁদকে এড়িয়ে চলে। এর পাশাপাশি সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল, অর্থাত্ একটি ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধেও পাল্টা দিতে পারে। আধুনিক EW পড দিয়ে যদি এফ-সিক্সটিনের আপগ্রেড না করা হয়, তাহলে কভারেজের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সমন্বিত সিস্টেমের অভাব থাকবেই। আর এখানেও রাফাল অনেকটাই এগিয়ে।
বাতাসের বাদশা
দু’টি জেটই ডগফাইটে সক্ষম, তবুও মেটিওর মিসাইল, উন্নত রাডার এবং ডেটা লিঙ্ক ইন্টিগ্রেশনের কারণে বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ (BVR) যুদ্ধে রাফাল বহু যোজন এগিয়ে। এফ-সিক্সটিনে রেঞ্জে আসার অনেক আগেই রাফাল হুমকি সনাক্তকরণ করে ফেলে। ভারতের রাফাল নির্ভরতা প্রমাণিত হয়েছে। অপারেশন সিঁদুর অভিযানে দেখা গিয়েছে যে, উন্নত ইউরোপীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত রাফাল গভীর আঘাত আনতে সক্ষম। নির্ভুলতার সঙ্গে নিখুঁত লক্ষ্যে সে কাজ সারতে পারে। এফ-সিক্সটিনের থেকে সবদিক থেকেই এগিয়ে রাফাল।
আরও পড়ুন: ৫০০০ কিমিও নস্যি! ব্যালিস্টিক হয়ে হাইপারসোনিক, জানুন ভারতের আগুনে মিসাইলভাণ্ডার…
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)