NOW READING:
ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলে ‘ভিক্ষার পাত্র’ হাতে বেরোতে হবে, পাকিস্তান নিয়ে মুডি’স রিপোর্টে বড়
May 5, 2025

ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলে ‘ভিক্ষার পাত্র’ হাতে বেরোতে হবে, পাকিস্তান নিয়ে মুডি’স রিপোর্টে বড়

ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলে ‘ভিক্ষার পাত্র’ হাতে বেরোতে হবে, পাকিস্তান নিয়ে মুডি’স রিপোর্টে বড়
Listen to this article


 

India Pakistan War : ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের  আবহে বড় রিপোর্ট প্রকাশ করল আন্তর্জাতিক আর্থিক রেটিং সংস্থা মুডি’স (Moodys Report)। দুই দেশের মধ্য়ে যুদ্ধ হলে কার বেশ ক্ষতি হবে ? যা মুডিসের রিপোর্টেই উঠে এসেছে । 

কী বলা হয়েছে এই রিপোর্টে
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে মুডি’স রেটিং একটি বড় সতর্কতা জারি করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে , যদি এই উত্তেজনা দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে, তাহলে পাকিস্তান সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেই ক্ষেত্রে পাকিস্তানের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধাক্কা লাগতে পারে, যা সরকারের রাজস্ব প্রক্রিয়াকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এটি পাকিস্তানের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় হুমকির কারণ হতে পারে।

বিদেশি ঋণ ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে সংকট
এই সতর্বার্তায় বলা হয়েছ, বর্তমান উত্তেজনা পাকিস্তানের ক্ষেত্রে চিন্তার কারণ হতে পারে। ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক বা বিদেশি তহবিল পাওয়ার ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়তে পারে পাকিস্তানে। এছাড়াও, আগামী বছরগুলিতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমবে যুদ্ধের কারণে। ফলে বহিরাগত ঋণ পরিশোধের জন্য অপর্যাপ্ত হবে বৈদেশিক মুদ্রা তহবিল। এমন পরিস্থিতিতে আইএমএফের মতো প্রতিষ্ঠান থেকে সাহায্য পাওয়া পাকিস্তানের পক্ষে কঠিন হতে পারে।

আগের আর্থিক তলানিতে যাওয়া পাকিস্তানে এখন উন্নতি হচ্ছিল, তবে বিপদ কাটেনি
মুডি’স আরও বলেছে, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানে কিছু উন্নতি দেখা গেছে। মুদ্রাস্ফীতির হ্রাস, ধীরে ধীরে জিডিপি বৃদ্ধি ও আইএমএফের শর্ত মেনে চলা অবশ্যই কিছুটা স্বস্তি এনেছে। কিন্তু যতক্ষণ না আঞ্চলিক শান্তি বজায় থাকে ও উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি না পায়, ততক্ষণ পর্যন্ত এই উন্নতি টিকবে না।

ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা শক্তিশালী ও স্থিতিশীল
ভারতের কথা বলতে গেলে মুডি’স রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে। ভারতের জিডিপি বৃদ্ধি স্থিতিশীল রয়েছে। এই ক্ষেত্রে সরকারি বিনিয়োগ বাড়ছে ও অভ্যন্তরীণ বাজারে শক্তিশালী উপভোক্তা ব্যয় দেখা যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হল, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য খুবই কম (০.৫% এর কম), তাই অর্থনৈতিক প্রভাব সীমিত হবে।

প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়তে পারে, তবে ভারতের উপর প্রভাব সীমিত
মুডি’স সতর্ক করে বলেছে, সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে ভারতকে সামরিক ব্যয় বাড়াতে হতে পারে। এর ফলে ভারতের আর্থিক স্থিতিশীলতার উপর সামান্য প্রভাব পড়তে পারে। তবে সামগ্রিকভাবে ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা শক্তিশালী থাকবে।

ভারতের কাছ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া
পহেলগাম হামলার পর, ভারত সরকার অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। পাকিস্তান থেকে সব ধরণের আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এমনকি যদি তা তৃতীয় কোনও দেশের মাধ্যমেও আসে। ডাক পরিষেবা এবং পার্সেল পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে এবং পাকিস্তানি জাহাজগুলিকে ভারতীয় বন্দরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, ভারতীয় জাহাজগুলিকেও পাকিস্তানি বন্দরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

সিন্ধু জল চুক্তি ও শিমলা চুক্তির অবসান
ভারত ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করেছে, যা পাকিস্তানের জল অধিকারের উপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে। প্রতিক্রিয়ায়, পাকিস্তান ১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তিও স্থগিত করেছে। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়াও, ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলিকে তার আকাশসীমা দিয়ে উড়তে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

 

আরও দেখুন



Source link