করাচি : একের পর এক জঙ্গি খতম । লস্কর-ই-তৈবার এক অপারেটিভ আবদুল ওয়াহিদ কুম্ভকে গুলি করে নিকেশ করা হয়েছে। তার আগেই রবিবার পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ জঙ্গি রাজাউল্লা নিজামানি খালিদ ওরফে আবু সইফুল্লা খালিকদে গুলি করে খতম করেছে সশস্ত্র লোকজন। ‘অপারেশন সিঁদুরের’ পর থেকে পাকিস্তানের বিভিন্ন অংশে LeT জঙ্গিদের এভাবে “টার্গেট কিলিং” বেড়ে গেছে। পাকিস্তান সংবাদ মাধ্যম এনিয়ে কোনও খবর অবশ্য করছে না। যদিও বিষয়টি পাক সরকার ও সেদেশের নিরাপত্তাবাহিনীর মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে।
নেপাল চলে যাওয়ার আগে ভারতের একাধিক জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল নিজামানি। এরপর পাকিস্তানের নিরাপত্তা এজেন্সির সহায়তায় সিন্ধ প্রদেশে ঘাঁটি গাড়ে সে। অন্যদিকে, লস্কর-ই-তৈবার রাজনৈতিক মোর্চা মিল্লি মুসলিম লিগের সদস্য ছিল নিজের সমাজকর্মী হিসাবে পরিচয় দেওয়া কুম্ভ। পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের বাদিন জেলার মাতলির একই এলাকায় তাকে নিকেশ করেছে সশস্ত্র লোকজন। স্থানীয় এজেন্সির কথায়, “আবদুল ওয়াহিদ কুম্ভকে ঘটনাস্থলে মারা হয়েছে। তাহির নামে আরও একজন সেখানে আহত হয়েছে। ঘটনায় পুলিশ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের নাম- গুলাম সাবির ও রাফাকত। তারা সিন্ধ জাতীয়তাবাদী গ্রুপ সিন্ধ দেশ রিভলিউশন আর্মির সদস্য।”
বলা হচ্ছে যে, সিন্ধ দেশ রিভলিউশন আর্মি একটি সিন্ধি জাতীয়তাবাদী সংগঠন, যার প্রদেশের অভ্যন্তরে শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে। সংগঠনটি অনেক ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। যার মধ্যে একটির নেতৃত্বে আছে সফি বুরফাত, যে আফগানিস্তানে বসবাস করছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় সূত্রের বক্তব্য, কিছু গোষ্ঠী সরাসরি Baloch Liberation Army-র সঙ্গে জড়িত।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রত্যাঘাত হিসাবে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতের সশস্ত্র বাহিনী। এরপর পাল্টা জঙ্গি-মদতদাতা পাকিস্তান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানো শুরু করে। যদিও ভারত তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়। পাল্টা পাকিস্তানকে প্রত্যাঘাত করে ভারতের বাহিনী। যাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে পাকিস্তান। সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। এদিকে পহেলগাঁওকাণ্ডের পর কাশ্মীর উপত্যকাজুড়ে তল্লাশি অভিযান চলছে নিরাপত্তাবাহিনীর। সোপিয়ান থেকে গ্রেফতার জঙ্গিদের ২ সহযোগী। ভারতীয় সেনার রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ, CRPF-এর ১৭৮ নম্বর ব্যাটেলিয়ন যৌথ অভিযান চালায়। সোপিয়ানের DK পোরায় তল্লাশি চালিয়ে জঙ্গিদের ২ সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে ২টি পিস্তল, ৪টি গ্রেনেড, ৪৩ রাউন্ড গুলি এবং আরও অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
আরও দেখুন