নয়াদিল্লি: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় উত্তাপ বেড়েই চলেছে দুই দেশের মধ্যে। সন্ত্রাসে মদত জোগানোর জন্য পাকিস্তানের উপর কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করছে ভারত। পাকিস্তানের তরফে উড়ে আসছে হুমকি-হুঁশিয়ারি। (India-Pakistan Military Strength) সংঘাত চরমে পৌঁছলে কী হবে, তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকেই। ভারত এবং পাকিস্তান, দুই দেশই পরমাণু শক্তিধর। কিন্তু সামরিক শক্তিতে কে, কোথায় দাঁড়িেয় এই মুহূর্তে, তা নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। (India-Pakistan Conflict)
লন্ডনের International Institute for Strategic Studies-এর পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। সেই অনুযায়ী-
সেনাসংখ্যা
ভারতের সামরিক বাহিনীতে মোট সক্রিয় সদস্য ১৪ লক্ষ। এর মধ্যে সেনাবাহিনীতে ১২ লক্ষ ৩৭ হাজার, নৌবাহিনীতে ৭৫ হাজার ৫০০ এবং বায়ুসেনায় ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯০০, উপকূলরক্ষী বাহিনীতে ১৩ হাজার ৩৫০।
পাকিস্তানের মোট সেনাসংখ্যা ৭ লক্ষ, সেনাবাহিনীতে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার, বায়ুসেনায় ৭০ হাজার এবং নৌবাহিনীতে ৩০ হাজার।
সেনার যুদ্ধসরঞ্জাম
ভারতের অস্ত্রভাণ্ডারে ৯ হাজার ৭৪৩টি কামান রয়েছে। পাকিস্তানের কামানের সংখ্যা ৪ হাজার ৬১৯টি। ভারতের কাছে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত ট্যাঙ্ক রয়েছে ৩ হাজার ৭৪০টি, পাকিস্তানের ২ হাজার ৫৩৭টি।
বায়ুসেনা
ভারতের যুদ্ধবিমানের সংখ্যা ৭৩০। পাকিস্তানের কাছে ৪৫২টি যুদ্ধবিমান রয়েছে।
নৌবাহিনী
ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে ১৬টি সাবমেরিন, ১১টি বড় যুদ্ধজাহাজ, ১৬টি মাঝারি যুদ্ধজাহাজ, দু’টি বিমান বহনকারী কেরিয়ার রয়েছে। পাকিস্তানের নৌবাহিনীর রয়েছে আটটি সাবমেরিন ও ১০টি মাঝারি যুদ্ধজাহাজ।
ছবি: ফ্রিপিক।
পরমাণু অস্ত্র
ভারতের কাছে ১৭২টি ওয়ারহেড রয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রে বা রকেটের যে অংশটিতে রাসায়নিক, জৈবিক বা পারমাণবিক বিস্ফোরক ভরে শত্রুপক্ষের দিকে ছোড়া হয়, সেটিকে ওয়ারহেড বলা হয়। পাকিস্তানের ওয়ারহেটের সংখ্যা ১৭০।
প্রতিরক্ষা বাজেট
২০২৫ সালে ভারতের বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে ৬.৮ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। এর মধ্যে সেনার আধুনিকীকরণের জন্য বরাদ্দ হয় ১.৮ লক্ষ কোটি টাকা। দেশের মোট জিডিপি-র ১.৯ শতাংশ সামরিক খাতে বরাদ্দ করে ভারত। আর বাজেটের ১৩.৪৫ শতাংশ।
অন্য দিকে, ২০২৪ সালে পাকিস্তান প্রতিরক্ষা খাতে ২,১২ লক্ষ কোটি বরাদ্দ করেছিল, ভারতীয় মুদ্রায় যা ৬৪ হাজার ৮২ কোটি টাকা। দেশের জিডিপি-র ১.৭ শতাংশ তারা প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ করে।
কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার ঘটনায় এই মুহূর্তে ভারত ও পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। আগে থেকেই রাশিয়া বনাম ইউক্রেন এবং ইজরায়েল বনাম হামাস যুদ্ধ চলছে। এমন পরিস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সংঘাতে ইতি টানার পক্ষপাতী আন্তর্জাতিক মহল। পাকিস্তান যদিও হুমকি, হুঁশিয়ারি দিয়েই চলেছে, পাশাপাশি, বারতের তরফে প্রত্যাঘাতের আশঙ্কাও করছে তারা।
আরও দেখুন